নাদাল-জোকোভিচকে হারানো আলকারেজ এখন বিশ্বসেরা?

কার্লোস আলকারেজের জন্য সপ্তাহটা রূপকথার চেয়ে কম নয়। এই প্রথম ক্লে কোর্টের টুর্নামেন্টে রাফায়েল নাদাল, নোভাক জোকোভিচদের হারানোর কৃতিত্ব দেখালেন। ক্লে কোর্টে যা আগে কেউ পারেনি। ফাইনালে এবার তো আলেক্সান্ডার জভেরভকে হারিয়ে মাদ্রিদ ওপেনেরই শিরোপা ঘরে তুললেন ১৯ বছর বয়সী।

দ্রুত সময়ে দ্বিতীয় মাস্টার্স জেতায় তাকে ঘিরে স্বপ্ন দেখছেন স্প্যানিশরাও। তার হাত ধরে নাদাল পরবর্তী যুগের সূচনা দেখছেন অনেকে। শেষ দুই ম্যাচে নাদাল, জোকোভিচকে হারানো আলকারেজ ফাইনালে খুব সহজেই ধরাশায়ী করেছেন জভেরভকে। জার্মান দ্বিতীয় বাছাইকে হারান ৬-৩, ৬-১ গেমে।  

দুর্দান্ত ফর্মে থাকায় ফ্রেঞ্চ ওপেন শুরুর আগে র‌্যাঙ্কিংয়েও উন্নতির ছাপ রাখতে যাচ্ছেন আলকারেজ। উঠে আসবেন ষষ্ঠস্থানে। তাই টুর্নামেন্টটা বিশেষ স্থান পাচ্ছে আলকারেজের কাছে, ‘টুর্নামেন্টটা আমার জন্য বিশেষ কিছু। কারণ, সাত বা আট বছর থাকতে এই টুর্নামেন্ট এসে দেখার সুযোগ পেয়েছিলাম।’

স্প্যানিশ টুর্নামেন্টটিতে তৃতীয় শিরোপার লক্ষ্যে নেমেছিলেন জভেরভ। কোর্টে নামার পর বুঝতে পারেন সেই সম্ভাবনা কতটা কঠিন। শুরুর দিকেই তাকে কোণঠাসা করে ফেলেন আলকারেজ। যার প্রতিআক্রমণের কৌশল জার্মান তারকার জানা ছিল না।

প্রথম সেট ৪-২ করার পর খেলার পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন আলকারেজ। দ্বিতীয় সেটে তো তিনবার সার্ভ ব্রেক করেছেন। তাতে এক ঘণ্টা ৪ মিনিটে পরিণতিতে পৌঁছে যায় ম্যাচ। 

হারের পর জার্মান তারকা অবশ্য আলকারেজকেই এখন বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়ের তকমা দিয়েছেন। প্রতি উত্তরে সেসব উড়িয়ে দিয়েছেন স্প্যানিশ রাইজিং স্টার, ‘র‌্যাঙ্কিংয়ে জোকোভিচ নম্বর ওয়ান। আমি যদিও বার্সেলোনায় জিতেছি, মাদ্রিদে জোকোভিচ, রাফাকে হারিয়েছি। কিন্তু তার পরেও নিজেকে বিশ্বের সেরা খেলোয়াড় বলতে পারছি না। কাল হয়তো র‌্যাঙ্কিংয়ে ছয়ে অবস্থান করবো। তাই সেরা হতে আমার সামনে এখনও পাঁচজন খেলোয়াড় রয়েছে।’