কম্পিউটারের গতি বাড়ানোর কিছু কৌশল

জেনে নিন কম্পিউটারের গতি বাড়ানোর কৌশল

কম্পিউটিং টেকনোলজি গত কয়েক বছরে খুব দ্রুত এগিয়েছে এবং সামনেও যে এই পরিবর্তন অব্যাহত থাকবে তা সহজেই অনুমান করা যায়। বর্তমান সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য এ পরিবর্তন খুবই দরকারি। এছাড়া এই পরিবর্তনের জন্য আমাদের কম্পিউটার (এমনকি স্মার্টফোনও) আগের চেয়ে অনেক বেশি গতিশীল এবং কার্যক্ষম হয়েছে।

এখন আমরা কম্পিউটার চালু করা সঙ্গেই কাজ করতে পারি। কিন্তু আগে এরকম ছিল না। তখন কম্পিউটারকে তৈরি হওয়ার জন্য বেশ কিছুক্ষণ সময় দিতে হতো।

এই আধুনিক যুগে এসেও প্রতিদিনই কম্পিউটার ব্যবহার, বেশিক্ষণ ধরে এতে কাজ করা, বিভিন্ন ত্রুটি ইত্যাদি কারণে কম্পিউটারের গতি মন্থর (স্লো) হয়ে যেতে পারে।

তবে কিছু কৌশল অনুসরণ করলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। এছাড়া এই কৌশলগুলো আপনার কম্পিউটারের সার্বিক কার্যক্ষমতার উন্নয়নে সহায়তা করবে এবং কম্পিউটারকে গতিশীল করবে। এরকম কিছু কৌশল হলো-

১. কম্পিউটারের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হার্ডওয়্যার হলো হার্ডডিস্ক। এখানে কম্পিউটারের সব ফাইল এবং ডাটা সংরক্ষিত থাকে। তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, হার্ডডিস্ক এমন একটি জায়গা যেখানে অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টল করা থাকে। কিন্তু বেশিরভাগ কম্পিউটারেই ‘মেকানিক্যাল’ হার্ডডিস্ক থাকার কারণে নিদির্ষ্ট প্রোগ্রামে প্রবেশ করতে হয় স্পিন করার মধ্য দিয়ে। ফলে এর গতি কম হয়।

তাই এ সমস্যা সমাধানে আপনি আপনার পিসিকে সলিড স্টেট ড্রাইভে (এসএসডি) উন্নীত করতে পারেন। এসএসডি ইলেকট্রনিক ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট -এর মাধ্যমে প্রোগ্রামে প্রবেশ করে। ফলে এটা খুব দ্রুত কাজ করে। তবে এসএসডি ব্যবহারের সমস্যা হলো এটা হার্ডডিস্কের তুলনায় অনেক বেশি ব্যয়বহুল।

২. আমরা প্রতিনিয়ত আমাদের কম্পিউটারে অনেক সফটওয়্যার ইনস্টল করে থাকি। সেগুলো অনেক সময় কাজে না-ও পারে। যে সফটওয়্যারগুলো কাজে লাগে না সেগুলোকে আন-ইনস্টল করে দেওয়াই ভালো। এতে কম্পিউটারের গতি বৃদ্ধি পায়।

৩. ওয়েব ব্রাউজার থেকে শুরু করে মিডিয়া প্লেয়ার, এসব অনেক সফটওয়্যার অ্যাপ্লিকেশনই আমরা কম্পিউটারে ব্যবহার করে থাকি। এসব সফটওয়্যার অ্যাপ্লিকেশনের পুরনো ভার্সনগুলো কম্পিউটারের জন্য বেশ বিপদজনক। একদিকে এগুলো কম্পিউটারকে নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রাখে অন্যদিকে এসব পুরনো ভার্সন কম্পিউটারকে মন্থর করে দেয়। তাই কম্পিউটারে সবসময় এগুলোর সর্বশেষ ভার্সন ব্যবহার করতে হবে।

৪. আপনি যদি উইন্ডোজ ১০ ব্যবহারকারী হয়ে থাকেন তাহলে অপারেটিং সিস্টেমকে আরও গতিশীল করার জন্য ফাস্ট স্টার্টআপ অপশনটি ব্যবহার করতে পারেন। ফাস্ট স্টার্টআপ হলো মাইক্রোসফটের সর্বশেষ অপারেটিং সিস্টেমের একটি ফিচার।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

/এইচএএইচ/

আরও পড়তে পারেন:  এক ‘বাবার চিঠি’ পেয়ে পর্নো সাইট বন্ধের উদ্যোগ