এর আগে আরও দুটি প্রতিষ্ঠান জি-ফাইভ টেকনোলজিস লিমিটেড ও টু-এম করপোরেশনের লাইসেন্স বাতিল করে বিটিআরসি।
প্রসঙ্গত, ভিটিএস হলো যেকোনও ধরনের যানবাহন খোঁজ করার প্রযুক্তি। এই প্রযুক্তিতে যেকোনও যানবাহনে একটি ডিভাইস বসানো হয়। ওই ডিভাইসে ব্যবহার হয় মোবাইলফোনের সিম এবং মোবাইল নেটওয়ার্ক। জিপিএস প্রযুক্তির মাধ্যমে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে গাড়ি হারিয়ে গেলে, চুরি হলে গাড়ির অবস্থান জানা যায়।
এর আগে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি ২০০৯ সাল থেকে ভিটিএস লাইসেন্স দেওয়া শুরু করে। এরমধ্যে ১৭টি প্রতিষ্ঠানের বিপরীতে লাইসেন্স ইস্যু করে। এছাড়া ৩টি মোবাইলফোন অপারেটরকে ভিটিএস সেবাদানের অনুমোদন দেয়। এর মধ্যে লাইসেন্স প্রাপ্ত ১৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩টি প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিনেও সেবা চালু করতে না পারায় বিটিআরসি লাইসেন্স বাতিলের উদ্যোগ নেয়।
জানতে চাইলে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব এম রায়হান আখতার বলেন, প্রতিটি লাইসেন্সের বিপরীতে কিছু শর্ত থাকে। দীর্ঘদিনেও অপারেশনে না গিয়ে প্রতিষ্ঠান ৩টি শর্ত ভেঙেছে। সে কারণেই ৩টি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল হয়েছে। এখন বিটিআরসি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
ভিটিএস লাইসেন্স প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো হলো এনআইটিএস সার্ভিসেস প্রাইভেট লিমিটেড, নেক্সডিকেড টেকনোলজিস প্রাইভেট লিমিটেড, মেসার্স আকাশ টেকনোলজি, ক্রান্তি ট্রায়োফিল লিমিটেড, জি৪এস সিকিউরিটি সার্ভিসেস, সিকিউরিটি অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড, বিডিকম অনলাইন, অপটিম্যাক্স কমিউনিকেশন লিমিটেড, পাই-ল্যাবস বাংলাদেশ লিমিটেড, কোর ট্র্যাকার লিমিটেড, মনিকো টেকনোলজিস লিমিটেড, ওয়ান্ডার ল্যান্ড আইটি সলিউশন্স, ইমপ্রেসিভ সিকিউরিটি লিমিটেড, ট্র্যাক ইনোভেটিভ টেকনোলজিস লিমিটেড, ট্র্যাকিং অ্যান্ড সার্ভে সলিউশন্স, জিওন টেকনোলজিস লিমিটেড ও এমটুএম কমিউনিকেশন্স লিমিটেড।
এছাড়া মোবাইলফোন অপারেটর গ্রামীণফোন, এয়ারটেল ও রবিকে ভিটিএস সেবাদানের জন্য লাইসেন্স নিতে না হলেও অনুমোদন দেওয়া হয়।
অন্যদিকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি নিয়মিত লাইসেন্স ফি না দেওয়া এবং নবায়ন না করায় জি-ফাইভ টেকনোলজিস লিমিটেড ও টু-এম করপোরেশনের লাইসেন্স বাতিল করে বিটিআরসি। প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম কার্যক্রম বন্ধসহ প্রতিষ্ঠান দুটিকে বকেয়া পরিশোধেরও নির্দেশ দেওয়া হয়।
লাইসেন্স বাতিলের ওই নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়, লাইসেন্সের শর্তানুযায়ী মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার আগেই লাইসেন্স নবায়নের আবেদন করার বিধান রয়েছে। ভিটিএস লাইসেন্সধারী এসব প্রতিষ্ঠান মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও নবায়নের জন্য আবেদন করেনি। প্রতি বছর লাইসেন্স ফি দেয়ার বিধান থাকলেও কয়েক বছর ধরে তারা তা পরিশোধ করছে না। ফলে প্রতিষ্ঠানগুলোর নামে ইস্যু করা ভিটিএস লাইসেন্স অবৈধ ও অকার্যকর।
উল্লেখ্য যে, বিটিআরসি ২২টি প্রতিষ্ঠানকে ভিটিএস লাইসেন্স দেয়। এর মধ্যে ৩টি প্রতিষ্ঠানকে (মোবাইলফোন অপারেটর) দেওয়া হয় অনুমোদন। অবশিষ্ট ১৯টি প্রতিষ্ঠান লাইসেন্স পেলেও সেবা চালু না করা, ফি বকেয়া থাকাসহ বিভিন্ন কারণে এ পর্যন্ত ৫টি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল করা হয়।
আরও পড়তে পারেন: মমতার শপথের আগে তিস্তা নিয়ে নতুন আশা
/এমএনএইচ/