কালিয়াকৈর হাইটেক পার্ক এখন ‘বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি’: পলক

বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি পরিদর্শন

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিকে মানুষের মাঝে চির স্মরণীয় রাখতে গাজীপুরের কালিয়াকৈর হাইটেক পার্কের নাম পরিবর্তন করে বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি রাখা হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বুধবার গাজীপুরের কালিয়াকৈর বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটির উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শনের আগে সাংবাদিকদের বলেন, যশোর সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের নাম পরিবর্তন করে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে রাখা হয়েছে এবং পরবর্তীতে আরও যেসব প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান হবে তা ক্রীড়া সংগঠক শেখ কামালের নামে হবে। 

পলক বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের অনুমোদন সাপেক্ষে কালিয়াকৈর হাইটেক পার্কের নামকরণ করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম, বাংলাদেশ টেকনোসিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মইনুল হক, সামিট টেকনোপলিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদ খান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি ড. মোখলেসুর রহমান ও বিডি ভেঞ্চারের সাখাওয়াত হোসেনসহ আইসিটি বিভাগের কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ সূত্র জানায়, ঢাকা থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটির ৩৫৫ একর জমির মধ্যে ২৩২ একরকে ৫টি ব্লকে ভাগ করে বাংলাদেশ টেকনোসিটিকে ৩ নম্বর ব্লকে ৪০ একর এবং সামিট টেকনোপলিসকে ২ নম্বর ব্লকে ৬২ একর এবং ৫ নম্বর ব্লকে ২৯ একর জমিতে অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ দেওয়া হয়েছে। এ দু’টি প্রতিষ্ঠান মোট ২৩৩ দশমিক ৫৯ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে এবং এসব ব্লকগলোতে মাল্টিটেনেন্ট বিল্ডিং, শিল্প এলাকা, কনভেনশন সেন্টার, হোটেল, হেলিপ্যাড, শিল্প এলাকা, ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট ইত্যাদি নির্মাণ করবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি হবে বিশ্বমানের এবং এটি হবে আইসিটি খাতের প্রাণ। এখানে উৎপাদিত হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার পণ্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রফতানি করা হবে।

পলক বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে আইসিটি রপ্তানি ৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা পূরণে নানা উদ্যোগের অংশ হিসেবে দেশে ১২টি হাইটেক পার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে। এর মধ্যে যশোরে শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক ভবনের ১ লাখ বর্গফুট ফ্লোর র্নিমাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং নির্মিত ফ্লোর আইটি কোম্পানির মধ্যে বরাদ্দ প্রদানের কাজ চলছে।

এছাড়া রাজশাহীতে বরেন্দ্র সিলিকন সিটি, নাটোরে আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার, সিলেটে সিলেট ইলক্ট্রনিক সিটি, মহাখালী আইটি ভিলেজ এবং বিভাগীয় পার্যয়ে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপনের কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে।

পলক জানান, বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিতে বিনিয়োগের জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ট্যাক্স হলিডেসহ বিশেষ প্রণোদনা ঘোষণা করেছে সরকার। পার্কটি নির্মিত হলে এখানে প্রায় ৭০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে।

প্রতিমন্ত্রী পরে বঙ্গন্ধু হাইটেক সিটিতে বাংলাদেশ টেকনোসিটির অবকাঠামো উন্নয়ন ও সামিট টেকনোপলিসের সিগনেচার বিল্ডিং ও ম্যানুফ্যাকচারিং বিল্ডিং এর নির্মাণ কাজ ঘুরে দেখেন। এছাড়াও তিনি বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিতে টিয়ার -৪ ডাটা সেন্টারের অবকাঠামো উন্নয়ন, অভ্যন্তরীণ রাস্তা, ডেডিকেটেড রেল লাইন নির্মাণসহ সামগ্রিক কাজের অগ্রগতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

/এইচএএইচ/ 

অারও পড়তে পারেন:  এয়ারটেল নেটওয়ার্কে সমস্যা, ভোগান্তিতে গ্রাহক

অনিবন্ধিত সিম বন্ধ: কাস্টমার কেয়ারে ভিড়