হোয়াটসঅ্যাপের বিকল্প হতে পারে যেসব অ্যাপ

মেসেজিং অ্যাপ

হোয়াটসঅ্যাপ পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত মেসেজিং অ্যাপ। বর্তমানে এর ১০০ কোটিরও বেশি ব্যবহারকারী রয়েছে। এই অ্যাপটির রয়েছে এমন কিছু চৌকস ফিচার যেগুলো ব্যবহারকারীকে এটা ব্যবহার করতে আকৃষ্ট করে।

তবে আপনি যদি আপনার চারপাশে খেয়াল করেন তাহলে দেখতে পাবেন আরও অনেক মেসেজিং অ্যাপ রয়েছে যেগুলো আপনার প্রয়োজন মেটাতে সক্ষম। সেখান থেকেও আপনি হোয়াটসঅ্যাপের বিকল্প হিসেবে যেকোনও একটি অ্যাপ বেছে নিতে পারবেন। সেসব অ্যাপে এমন সব ফিচার রয়েছে যেগুলো হয়তো হোয়াটসঅ্যাপেও নেই।

হোয়াটসঅ্যাপের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন এমন কয়েকটি অ্যাপ হলো-

হাইক

হাইক মেসেজিং অ্যাপ এই জানুয়ারিতে ১০০ মিলিয়ন ব্যবহারকারীর সীমা অতিক্রম করেছে। এই অ্যাপটি অ্যান্ড্রয়েড, আইওএস এবং উইন্ডোজ চালিত স্মার্টফোনে ব্যবহার করা যায়।

হোয়াটসঅ্যাপের চেয়ে ভালো এর দারুণ একটি সুবিধা হলো- এই অ্যাপটিতে অফলাইনে থেকে চ্যাট করা যায়। এছাড়াও এতে রয়েছে বেটার স্টিকার কালেকশন, হিডেন চ্যাট ফিচার এবং হাইক মেম্বার ছাড়াও বিনামূল্যে মেসেজিং করার সুবিধা।

কাকাও টক

কাকাও টক ভারতীয় উপমহাদেশে খুব একটা জনপ্রিয় না। তবে এই অ্যাপটিও হোয়াটসঅ্যাপের বিকল্প হিসেবে আপনার প্রয়োজন মেটাতে পারে। কাকাও টক ১৫টি ভাষা সাপোর্ট করে। এর সাহায্যে ভিডিও কল করা যায়।

এই অ্যাপের এনিমেটেড ইমোকটিন রয়েছে। এছাড়া এটা ব্যবহার করতে মোবাইল নম্বরের প্রয়োজন হয় না। শুধু কাকাওটকে একটি অ্যাকাউন্ট হলেই চলে। অ্যাপটি অ্যান্ড্রয়েড, আইওএস এবং উইন্ডোজ চালিত স্মার্টফোনে ব্যবহার করা যায়।

লাইন

হোয়াটসঅ্যাপের আরেকটি প্রতিদ্বন্দ্বী হলো লাইন। এই অ্যাপে টাইমলাইন, কুপনস, ভিডিও স্ন্যাপিং, ১ গিগা পর্যন্ত ফাইল শেয়ারিং ইত্যাদি সুবিধা রয়েছে যেগুলো হোয়াটসঅ্যাপে নেই।

টেলিগ্রাম

টেলিগ্রামেও অনেক ফিচার রয়েছে যেগুলো হোয়াটসঅ্যাপে নেই। এর সাহায্যে ১ দশমিক ৫ গিগা পর্যন্ত ফাইল শেয়ার করা যায়। অ্যাপটিতে রয়েছে জিআইএফ সাপোর্ট। এটা বিনামূল্যে ব্যবহার করা যায় এবং প্রায় সব প্রধান অ্যাপ স্টোরেই পাওয়া যায়।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

/এইচএএইচ/

অারও পড়তে পারেন: পলকের ৩৬০ ডিগ্রি