‘গেমের বিশ্ববাজারে বাংলাদেশ একদিন নেতৃত্ব দেবে’

অনুষ্ঠানের অতিথিরা

জাতীয় পর্যায়ে মোবাইল গেম উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সরকারের আইসিটি বিভাগ। প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশে ১০ হাজার ডেভেলপার তৈরিসহ নানা ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। এজন্য পূর্ণাঙ্গ অ্যাপস ডেভেলপার হিসেবে ৮ হাজার ৭৫০ জনকে এবং গেমিং অ্যানিমেটর হিসেবে ২ হাজার ৮০০ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তারই ধারাবাহিকতায় দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২০টি কর্মশালার আয়োজন করা হবে। এরই অংশ হিসেবে মঙ্গলবার ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে মোবাইল গেম আইডিয়া উন্নয়ন শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসন ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন, উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এম শহিদুল হাসান, জাতীয় পর্যায়ে মোবাইল গেম উন্নয়ন কর্মসূচির কর্মসূচি পরিচালক নবির উদ্দিন, অ্যাপনোমেট্রি লিমিটেডের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ঢাকা চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক রিয়াদ হোসেনসহ আরও অনেকে।

ডিজিটাল অগ্রযাত্রার বাংলাদেশে বর্তমানে ১৩ কোটির বেশি মোবাইল গ্রাহক রয়েছেন। যার মধ্যে প্রায় ৬ কোটি ব্যবহারকারী তাদের মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। ইন্টারনেট ব্যবহার করে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সেবা গ্রহণের মাধ্যমে তাদের জীবনযাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে পেরেছে। এক্ষেত্রে সেবা প্রাপ্তিতে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে তৈরি করা বিভিন্ন অ্যাপস ভূমিকা রাখছে। অন্যদিকে বিনোদনের ক্ষেত্রে মোবাইল গেইম ভূমিকা রাখছে।

পলক আরও বলেন, চলতি বছরে বিশ্ববাজারে মোবাইল গেমের চাহিদা প্রায় ১০০ বিলিয়ন ডলার, যেখানে মোবাইল গেমের বাজার রয়েছে ৩৬ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার। সেই বাজার ২০১৮ সালের মধ্যে ১১৩ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করবে, যেখানে ৪৪ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার আসবে শুধু মোবাইল গেম থেকে। সেই বড় বাজারে বাংলাদেশকে নেতৃত্বস্থানীয় অবস্থানে নিয়ে যেতে আমরা কাজ করছি। গেমের বিশ্ববাজারে বাংলাদেশ একদিন নেতৃত্ব দেবে।

অধ্যাপক ড. এম এম শহিদুল হাসান বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির অগ্রযাত্রার এই সময়ে দেশের তরুণ শিক্ষার্থীদের আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষায় শিক্ষিত করার বিকল্প নেই। আজকের এই কর্মশালায় ১০০ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছে। জুরি বোর্ডের মাধ্যমে বাছাইকৃত ৩০ জন শিক্ষার্থী পরবর্তী প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। আগামীতেও এ ধরনের কার্যক্রমে আমরা পাশে থাকব।

/এইচএএইচ/