১০ মিনিটের স্কুলের সক্ষমতা বাড়াতে চুক্তি

সক্ষমতা বাড়াতে হলো চুক্তি সইদেশে ডিজিটাল শিক্ষা বিস্তারে সম্মিলিতভাবে কাজ করবে আইসিটি বিভাগ, মোবাইলফোন অপারেটর রবি ও অনলাইন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান- টেন মিনিটস স্কুল। রবিবার রাজধানীর কাওরান বাজারের জনতা টাওয়ারের সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি সই হয়।  আইসিটি বিভাগের পরিচালক বনমালী ভৌমিক, রবির চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড পিপল অফিসার (সিসিপিও) মতিউল ইসলাম নওশাদ এবং টেন মিনিটস স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী আয়মান সাদিক নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
চুক্তির আওতায় মানসম্মত শিক্ষা উপকরণ সহজলভ্য করতে শিক্ষার্থীদের জন্য ২ হাজার ১টি ডিজিটাল ল্যাব এবং ৩০ হাজারের বেশি মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমে টেন মিনিটস স্কুলের ডিজিটাল এডুকেশন কন্টেন্ট শিক্ষার্থীদের মাঝে তুলে ধরা হবে। এ চুক্তির ফলে আইসিটি বিভাগ, রবি ও টেন মিনিট স্কুলের উদ্যোগে আইসিটি বিভাগের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং দেশজুড়ে হাই-টেক পার্কগুলোতে ন্যানো ডিগ্রি প্রোগ্রাম চালু করা হবে। এ প্রোগ্রামের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ডিজিটাল দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন। পাশাপাশি আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত লার্নিং-আর্নিং মেলায় তরুণদের মধ্যে তাদের ডিজিটাল এডুকেশন কন্টেন্টটি তুলে ধরবে রবি-টেন মিনিটস স্কুল।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, শিক্ষাকে একটি জাতির অন্যতম স্তম্ভ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাই স্বাভাবিকভাবেই ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে মানসম্মত ডিজিটাল শিক্ষা উপকরণ একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। এ প্রেক্ষাপটে দেশের বৃহত্তম অনলাইন এডুকেশন প্লাটফর্ম টেন মিনিটস স্কুল এবং এর পৃষ্ঠপোষক রবির সঙ্গে আইসিটি বিভাগ একযোগে কাজ করবে।

মতিউল ইসলাম নওশাদ বলেন, রবি বিশ্বাস করে আমাদের তরুণদের ভবিষ্যত নির্ভর করছে ডিজিটাল প্রযুক্তিকে কাজে লাগানোর ওপর। দেশজুড়ে বিস্তৃত রবি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আমরা সহজেই তরুণদের জন্য মানসম্মত ডিজিটাল এডুকেশন কন্টেন্ট পৌঁছে দিতে পারি। এজন্যই কর্পোরেট দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে টেন মিনিটস স্কুলের প্রতি আমরা সহাযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছি।

টেন মিনিট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা আয়মান সাদিক বলেন, এমন একটি তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপের অংশীদার হতে পেরে আমরা সত্যিই আনন্দিত। আমাদের তরুণরা দিন দিন ইন্টারনেট ব্যবহারে স্বাচ্ছন্দ্য হয়ে উঠছে।

টেন মিনিটস স্কুল দেশের একমাত্র সাইট যেখানে শিক্ষার্থীরা টিউটোরিয়ালসের (১ হাজার ৪১১টি ভিডিও রয়েছে যেগুলো ৭০ লাখেরও বেশিবার দেখা হয়েছে) মাধ্যমে শিখতে পারছেন। কুইজ ও মডেল টেস্টের (২৮ হাজার ৪৫৫টি কুইজ) মাধ্যমে অনুশীলন, নিজের অগ্রগতি সম্পর্কে ধারণা অর্জন, সহপাঠী ও অন্যদের সঙ্গে নিজের অবস্থান যাচাইসহ ইন্টারনেটে নেই এমন খুঁটনাটি তথ্যগুলোও সহজে পেয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।

ফেসবুকের লাইভ ফিচার ব্যবহার করে প্রতিদিন লাইভ ক্লাসও প্রচার করছে স্কুলটি।

/এইচএএইচ/