প্রতিমন্ত্রী এ সময় বিগত ৮ বছরে তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে সরকার গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রম উল্লেখপূর্বক আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, উদ্ভাবনে সফলতা আনয়ন, উদ্যোক্তা সৃষ্টি এবং ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে আমাদেরে সরকার আইডিয়া শীর্ষক একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এই প্রকল্প গবেষণা ও উদ্ভাবনে শিল্প-শিক্ষার্থী-শিক্ষক-সরকারের সঙ্গে সমন্বয়ের পাশাপাশি উদ্ভাবনী কার্যক্রমী প্রণোদনা সৃষ্টি করবে এবং দেশে একটি বৈশ্বিক স্টার্টআপ কালচার সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখবে।
এমআইটির কানেকশন সায়েন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডেভিড এম শয়ার ডিজিটাল অর্থনীতির ন্যায্য হিস্যা বুঝে নিতে বাংলাদেশের করণীয়, সুযোগ ও সম্ভাবনা উল্লেখ করে বলেন, ডিজিটাল অর্থনীতির সম্মানজনক অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগ প্রশসংনীয়।
ইউরোপীয় কমিশনকে উদ্ভাবনে বাণিজ্যিকীকরণে উপদেশ প্রদানকারী এমআইটির এই বক্তা পরে প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেন। উদ্ভাবন মডেলগুলোর সফলতার হার কম কেন এবং আমাদের দেশে একটি সফল উদ্ভাবন ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে এমআইটি কোন ধরনের সহযোগিতা করতে পারে এই প্রশ্নের জবাবে ডেভিড বলেন, উদ্ভাবনে সফলতা আসার নিশ্চয়তা দিয়ে কোনও উদ্ভাবন হয় না। তিনি টমাস আলভা এডিসনের কথা স্মরণ করে বলেন, টমাস ১০ হাজারবার চেষ্টার পর পৃথিবী বদলে দেওয়া একটি সফল উদ্ভাবন বিদ্যুৎ আবিস্কার করতে পেরেছিলেন। ঝুঁকি না নিয়ে, উদ্ভাবন হয় না। কেউ যদি ২-৩টি গেম চেঞ্জিং উদ্যোগ নিতে চায়, তবে তাকে অবশ্যই ১০ হাজার উদ্ভাবন নিয়ে কাজ করতে হবে।
আইসিটি বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে, অতিরিক্ত সচিব হারুনুর রশিদ, অতিরিক্ত সচিব পার্থ প্রতিম দেব, অতিরিক্ত সচিব সুশান্ত কুমার সাহা, আইসিটি ডিভিশনের চিফ স্ট্র্যাটেজিক অফিসার জামিল আজহারসহ আরও অনেকে এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
/এইচএএইচ/