দক্ষ গেম ডেভেলপারের খোঁজে গ্রামীণফোন

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক তার কার্যালয়ে ‘গেম জ্যাম’ নিয়ে গ্রামীণফোনের সিইও পেটার বি ফারবার্গ এবং সিএমও ইয়াসির আজমানের সঙ্গে আলোচনা করেন।দেশে বিশ্বমানের মোবাইল গেম তৈরির লক্ষ্যে ‘গেম জ্যাম’ প্ল্যাটফর্ম উদ্বোধন করেছে গ্রামীণফোন ও হোয়াইট-বোর্ড। গেম তৈরিতে অংশগ্রহণকারীদের উপযুক্ত কারিগরি সহায়তার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করবে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ। মোবাইল গেম তৈরির ক্ষেত্রে ক্রাউড সোর্স থেকে শুরু করে ডেভেলপ এবং উন্মোচন করতে এ প্ল্যাটফর্মে প্রতিযোগিতার আয়োজন করবে প্রতিষ্ঠান দুটি। বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় গ্রামীণফোন।

মোবাইল গেম তৈরির প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে আগ্রহীদের আবেদন গ্রহণ শুরু হয়েছে গত ২৩ মার্চ। ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত আগ্রহীরা ‘গেম জ্যাম’-এ অংশগ্রহণের জন্য আবেদন করতে পারবে। মোট ২৫টি দল ‘জ্যাম’-এ ৪৮ ঘণ্টাব্যাপী একে অপরের সঙ্গে লড়াই করবে। তিন বিজয়ী দলকে তাদের গেম বিশ্ববাজারে পৌঁছে দিতে সহযোগিতা করবে গ্রামীণফোন।

উচ্চমাত্রার ভিজ্যুয়াল বা গ্রাফিক্স ও ইফেক্ট, স্মরণীয় ভ্রমণ এবং আকর্ষণীয় মেকানিক্সের সমন্বয়ে গেম তৈরি করতে হবে প্রতিযোগীদের। গেমগুলো হতে হবে কৌশলী এবং ইন-অ্যাপ পার্চেজ পদ্ধতিতে খেলার সুযোগ থাকতে হবে। গেম জ্যামে অংশ নিতে আগ্রহীদের গিয়ে নিবন্ধন করতে হবে। টানা ৪৮ ঘণ্টার ‘জ্যাম’ শুরু করার পূর্বে আগামী ২২ এপ্রিল ২৫টি নির্বাচিত অংশগ্রহণকারী দলগুলোকে নিয়ে একটি প্রস্তুতিমূলক বুট ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হবে।

‘জ্যাম’ বা প্রতিযোগিতার মূল অংশ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৮ ও ২৯ এপ্রিল। চলতি বছরের জুলাইয়ের মধ্যে অ্যাপ স্টোরের জন্য পূর্ণাঙ্গ গেম তৈরি করে ফেলতে হবে বিজয়ী দলগুলোকে, যেগুলো গ্রামীণফোন আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করবে। শীর্ষ তিন বিজয়ী দল পাবে সবরকম আর্থিক এবং প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতা, যাতে করে দলগুলো বিশ্বব্যাপী গেমারদের চাহিদা অনুযায়ী গেম তৈরি করতে পারে।

এ প্রসঙ্গে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, “আমরা চাই দেশের তরুণ প্রজন্ম গেমিং খাতের সম্ভাব্য সব ধরনের সুযোগ গ্রহণ করুক, বিশ্বব্যাপী যার বাজারমূল্য ১০ হাজার কোটি ডলার। এজন্যই আইসিটি ডিভিশন গ্রামীণফোনের সঙ্গে মিলে ‘গেম জ্যাম ২০১৭’ আয়োজন করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণের স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমাদের দেশের গেম ডেভেলপাররা অবদান রাখবে।”

গ্রামীণফোনের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা ইয়াসির আজমান বলেন, ‘ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে দেশের শীর্ষস্থানীয় ডিজিটাল সেবাপ্রদানকারী হিসেবে গ্রামীণফোন প্রযুক্তিতে দেশের মেধাবী মুখগুলোকে খোঁজার কাজ শুরু করেছে। দেশের ডিজিটাল কমিউনিটিকে প্রযুক্তির ক্ষমতায়নে এগিয়ে নিয়ে যেতে এটি গ্রামীণফোনের একটি পদক্ষেপ।’

/সিএ/জেএইচ/