ইন্টারনেটের দাম কমছে!

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম (ফাইল ফটো)দেশে গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেটের দাম বিশ্বে তৃতীয় সর্বনিম্ন। ট্যাক্স, ভ্যাট ও রাজস্ব ভাগাভাগি কমিয়ে ইন্টারনেটের দাম আরও কমানো যায় কিনা তা নিয়ে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। এই উদ্যোগ সফল হলে এর ফল পাওয়া যাবে আগামী ছয় মাসের মধ্যে। বুধবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে ইন্টারনেটের মূল্য পুর্ননির্ধারণ সংক্রান্ত বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। এর আগে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে মোবাইলফোন অপারেটর এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।  

তারানা হালিম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি ভ্যাট ট্যাক্স ও রাজস্ব ভাগাভাগি করে, ছাড় দিয়ে হলেও দাম কমানোর উদ্যোগ গ্রহণ করবো। দেখা যাক কতদূর যেতে পারি আমরা। আমি দু-একদিনের মধ্যে এ বিষয়টি নিয়ে অর্থমন্ত্রীকে চিঠি দেবো। এর ফল পেতে ছয় মাসের মতো সময় লেগে যাবে।’  

বৈঠকে অংশ নেওয়া একটি সংগঠনের প্রতিনিধি যিনি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ইন্টারনেটের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে আগামী রবিবারের মধ্যে দাম কমানোর বিষেয় প্রস্তাব দিতে বলা হয়েছে। যেসব সংগঠন বৈঠকে অংশ নেয় তাদের প্রতিনিধিদের বলা হয়েছে, আপনারা প্রস্তাব দেন যে কিভাবে ইন্টারনেটের দাম কমাতে পারবেন। সেখানে সরকারের কী করণীয় রয়েছে। সবার প্রস্তাবনা নিয়ে মন্ত্রণালয় ইন্টারনেটের দাম কামনোর বিষয়ে যৌক্তিক সিদ্ধান্তে আসতে চাইছে বলে তিনি মনে করেন।

তিনি আরও বলেন, মন্ত্রণালয় চায় ইন্টারনেটের দাম কমুক। ব্যাপারটি নিয়ে মন্ত্রণালয়ের সবাইকে বেশ আন্তরিক মনে হয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, বৈঠকে আলোচনা শুনে মনে হয়েছে সরকার বিশেষ করে থ্রিজি ইন্টারনেটের দাম কমাতে চায়। তারপরও সবার কাছ থেকে প্রস্তাবনা চাওয়া হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন অনলাইনে মোবাইল অপারেটরগুলোর থ্রিজি সেবার মূল্য নিয়ে বিভিন্ন ধরনের আলোচনা, লেখা, কমেন্টকে মন্ত্রণালয় আমলে নিয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি আশাবাদী, সরকারের এই উদ্যোগের ফলে আগামী ৬ মাসের মধ্যে ইন্টারনেটের দাম কমবে।   

বৈঠকে আইআইজি, আইটিসি, বিএসসিসিএল, এনটিটিএন ও আইএসপিসহ বিভিন্ন মোবাইলফোন অপারেটরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

 এইচএএইচ/এসএমএ/ টিএন/