সিটিসেলের লাইসেন্স বাতিল



সিটিসেল
শেষ পর্যন্ত বাতিল হলো মোবাইল ফোন অপারেটর সিটিসেলের লাইসেন্স। সোমবার (২৪ জুলাই) নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বিটিআরসির কমিশন বৈঠকে মোবাইলফোন অপারেটরটির লাইসেন্স বাতিলের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে। বিটিআরসির একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সোমবার রাতে বিটিআরসির এই কর্মকর্তা জানান, ‘সরকারের অনুমোদনের পরে আজকের কমিশন বৈঠকে সিটিসেলের লাইসেন্স বাতিল করা হলো।’
এর আগে গত সপ্তাহে মোবাইলফোন অপারেটরটির লাইসেন্স বাতিলের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী অনুমোদনের ফাইল বিটিআরসিতে যায় বলে জানা গেছে।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৩১ জুলাই বিটিআরসি এক বিজ্ঞপ্তিতে সিটিসেলের গ্রাহকদের দুই সপ্তাহের মধ্যে বিকল্প সেবা গ্রহণের অনুরোধ জানায়। সে হিসাবে ১৬ আগস্ট পর্যন্ত সময় পান গ্রাহকরা। যদিও ১৪ আগস্ট ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম জানান, ‘বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সিটিসেলের গ্রাহকরা আরও সময় পাবেন।’
এরপর সিটিসেল উচ্চ আদালতে গেলে বিষয়টি আদালতের সিদ্ধান্তের ওপর চলে যায়। বিটিআরসি ওই নোটিশের পর আপিল বিভাগে যায় প্রতিষ্ঠানটি। আপিল বিভাগ গত বছরের ২৯ আগস্ট এই অপারেটরকে বকেয়া ৪৭৭ কোটি ৫১ লাখ টাকা দুই কিস্তিতে পরিশোধ করার শর্তে কার্যক্রম চালিয়ে যেতে বলে। এজন্য তারা সময় পেয়েছিল দুই মাস।
সিটিসেল আবেদন নিয়ে আপিল বিভাগে গেলে গত বছরের ৩ নভেম্বর শর্তসাপেক্ষে অবিলম্বে এর তরঙ্গ খুলে দেওয়ার নির্দেশ আসে সর্বোচ্চ আদালত থেকে। দুই দিন পেরিয়ে গেলেও তরঙ্গ ফিরে না পেয়ে ফের আদালতে যায় প্রতিষ্ঠানটি। এর মধ্যে তাদের পক্ষ থেকে বকেয়া টাকার মধ্যে ১৪৪ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়। পরে আপিল বিভাগ আদেশ দেন, ১৯ নভেম্বরের (২০১৬) মধ্যে সিটিসেল বকেয়ার ১০০ কোটি টাকা পরিশোধ না করলে আবারও তরঙ্গ বন্ধ করে দিতে পারবে বিটিআরসি।
এর আগে বকেয়া টাকা শোধ না করায় গত বছরের ২০ অক্টোবর সিটিসেলের তরঙ্গ স্থগিত করা হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয়ে ঢুকে তরঙ্গ বন্ধের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করেন বিটিআরসির কর্মকর্তারা।

 আরও পড়ুন: ‘শূন্য’ হতে চলেছে সিটিসেল
/এইচএএইচ/ এমএনএইচ