নাম বদলে ‘ভ্যাস গাইডলাইন’ প্রকাশ, মতামত আহ্বান

বিটিআরসিনাম বদলে টেলিযোগাযোগ খাতের সাম্প্রতিক সময়ের আলোচিত বিষয় ভ্যাস (মূল সংযোজিত সেবা) গাইডলাইন প্রকাশিত হয়েছে। এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে ‘টেলিকম ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিসেস’ বা ‘টিভিএএস’। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি গাইডলাইন প্রকাশ করে সংশ্লিষ্টদের মতামত আহ্বান করেছে। আগামী ৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পাওয়া মতামতের ভিত্তিতে চূড়ান্ত হবে ভ্যাস গাইডলাইন।
বিটিআরসির সিস্টেম ও সার্ভিসেস বিভাগের সিনিয়র সহকারী পরিচালক সঞ্জীব কুমার সিংহ স্বাক্ষরিত গাইডলাইনে মতামত আহ্বান বিষয়ে বলা হয়েছে, অতি সম্প্রতি কমিশন হতে টেলিকম ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিসেস প্রোভাইডার নিবন্ধনের বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে একটি গাইডলাইন তৈরি করা হয়েছে। গৃহীত মতামত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হবে বলেও তাতে উল্লেখ করা হয়।
গাইডলাইনে দেখা গেছে, টিভিএএস নিবন্ধনের জন্য আবেদন ফি ধরা হয়েছে ৫ হাজার টাকা। আর ৫ বছরের জন্য নিবন্ধন ফি ধরা হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। প্রোভাইডারদের সরকারের সঙ্গে রাজস্ব ভাগাভাগি করতে হবে ৫.৫ শতাংশ আর সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিলে (এসওএফ) জমা দিতে হবে মোট রাজস্ব আয়ের ১ শতাংশ।

প্রসঙ্গত, প্রথমবারের মতো ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিস লাইসেন্সিং গাইডলাইন- ২০১২ তৈরি করে বিটিআরসি কিন্তু, পরে তা ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ বাতিল করে দেয়। ২০১৩ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর এক চিঠিতে বিটিআরসিকে জানায়, আপাতত ভ্যাসের কোনও প্রয়োজন নেই। এক্ষেত্রে ৫টি কারণ দেখায় মন্ত্রণালয়। এরপরে ২০১৬ সালে ‘গাইড লাইনস ফর দ্য টেলিকম ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিসেস’ তৈরি করা হয় এবং সব পক্ষের অভিমত নেওয়ার জন্য ১০ দিনের সময় দিয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ সংশ্লিষ্টদের কাছে খসড়াটি পাঠায়। সবার অভিমত নেওয়ার জন্য বিটিআরসি গাইডলাইনটি কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে মতামত গ্রহণ করে। অথচ এই উদ্যোগ প্রথম নেওয়া ২০০৮ সালে।

সম্প্রতি মাত্র দুই লাখ টাকা বিনিয়োগ করে বাংলাদেশ থেকে দুই বছরে প্রায় ১৩ কোটি টাকা মুনাফা করে ভারতীয় কনটেন্ট বা ভাস নির্মাতা কোম্পানি হাঙ্গামা। হাঙ্গামা’র বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকের অভিযোগ, দুই লাখ টাকা বিনিয়োগ করে ২০১৫ সালে ৬ কোটি ৭৪ লাখ ৮১ হাজার ২৫০ এবং ২০১৪ সালে ৬ কোটি ৭ লাখ ৩৩ হাজার ১২৫ টাকা লভ্যাংশ বাবদ ভারতে পাঠায়।

মূলত এই ঘটনা জানাজানি হলে নড়েচড়ে বসে সংশ্লিষ্ট মহল। ফলে আলোর মুখ দেখার সুযোগ তৈরি হয় ভ্যাস গাইড লাইনের। বাংলাদেশে কনটেন্ট সেবা তথা ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিসের (ভ্যাস) লাইসেন্স এখনও চালু হয়নি। কিন্তু ভারতীয় কনটেন্ট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হাঙ্গামা (বাংলাদেশ) প্রাইভেট লিমিটেড ২০১৪-১৫ অর্থ বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে লাইসেন্স ফি বাবদ খরচ দেখায়।