রোহিঙ্গাদের কাছে দুই লাখ মোবাইল সিম বিক্রির অভিযোগ

রোহিঙ্গাদের কাছে মোবাইল সিম বিক্রির অভিযোগে মানববন্ধন

বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের দাবি, রোহিঙ্গাদের কাছে প্রায় দুই লাখ মোবাইল সিম বিক্রি করেছে মোবাইলফোন অপারেটরগুলো। তাদের লক্ষ্য ১০ লাখ রোহিঙ্গা গ্রাহক। প্রতিটি সিম ৫০০ থেকে এক হাজার টাকা বা আরও বেশি দামে বিক্রি করেছে একশ্রেণির প্রতারক এজেন্ট। এতে সহযোগিতা করেছে অপারেটররা।

‘রোহিঙ্গাদের বিনামূল্যে টেলিকম সেবা প্রদান ও অবৈধ সিম বিক্রির অপরাধে অপারেটরদের শাস্তির দাবিতে’ মানববন্ধন করে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।

মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ। বক্তব্য রাখেন ‘জাগো বাঙালি’র সভাপতি মেজর (অব.) ডাক্তার হাবিবুর রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য হুমায়ুন কবির হিরু, কর্মসংস্থান আন্দোলনের সভাপতি মো. দেলোয়ার হোসেন, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট কবির চৌধুরী তন্ময়, সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক কাজী আমানুল্লাহ মাহফুজ, প্রচার সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর কামরুল আহসান, বাংলাদেশ সাধারণ নাগরিক সমাজের কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট বাদল।

মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, রোহিঙ্গাদের মাঝে অবৈধভাবে সিম বিক্রির প্রবণতা মোটেও নতুন নয়। মিয়ানমার সরকারের গোয়েন্দারা এ সিম ব্যবহার করছে কিনা, তা খতিয়ে দেখারও দাবি জানানো হয় মানববন্ধন থেকে। বক্তারা বলেন, ‘‘গত ২৩ সেপ্টেম্বর ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন, ‘রোহিঙ্গাদের মাঝে সিম বিক্রি করা যাবে না। স্বল্পমূল্যে টেলিটকের বুথে কথা বলতে পারবেন রোহিঙ্গারা।’ কিন্তু আমাদের প্রশ্ন- বুথ থেকে রোহিঙ্গারা কার সঙ্গে কথা বলবেন? কিভাবে কথা বলবেন? কারণ, তাদের নিকটজনের কাছে তো মোবাইলফোন থাকবে না।’’

বক্তারা টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী অবৈধভাবে সিম বিক্রির অপরাধে প্রতি সিমের বিপরীতে অপারেটরগুলোকে ৫০ ডলার করে জরিমানার বিধান কার্যকরের আহ্বান জানান।

আরও পড়ুন:

‘সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হলে রোহিঙ্গাদের জায়গা হবে ভাসানচরে’