কিছু লোকের জন্য এটি বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে যোগাযোগের আতঙ্ক দূর করতে সক্ষম। কারণ এখানে তাদের মুখোমুখি হুমকির সম্মুখীন হতে হয় না। আবার একই সময়ে, এমন ব্যক্তিরাও আছেন, যারা এর প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েন।
তবে ডেলাক্রাজের মতে, স্ন্যাপচ্যাট সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে এর সংক্ষিপ্ততার কারণে। বিশেষ করে, যারা পাবলিকলি কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে দ্বিধাগ্রস্ত, তাদের জন্য এটি আকর্ষণীয় মাধ্যম। এর মাধ্যমে একইসময়ে একসঙ্গে দ্রুত অনেক পোস্ট করা যায়, যা শুধু কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী হয়।
টেক্সাস টেক বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক নারিসরা পুন্নিয়ানান্ট-কার্টার বলেন, ‘আমি লক্ষ করেছি, কিছু মানুষ সব সময়ই এটি ব্যবহার করছে।’ এটি প্রথাগত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। কারণ এখানে শুধু ১০ সেকেন্ডের একটি স্ন্যাপ রেকর্ড করা যায়।
এই গবেষণার জন্য গবেষকরা স্নাপচ্যাট ব্যবহার করে, এমন কয়েকজন ছাত্র-ছাত্রীদের বেছে নেন এবং তাদের চাহিদা, প্রেরণাগুলোসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো ব্যবহারের কারণ সম্পর্কে তাদের জিজ্ঞাসা করেন।
সাধারণ সোশাল মিডিয়া ব্যবহারের পেছনে কোন কোন অনুপ্রেরণা বা বৈশিষ্ট্য কাজ করে এবং কিভাবে তারা স্কেচচ্যাটের মতো সামাজিক মাধ্যমের দিকে আকর্ষিত হলেন, সে সম্পর্কেও জিজ্ঞাসা করা হয় ওই গবেষণায়।
স্ন্যাপচ্যাটের জনপ্রিয়তার পেছনে যে দু’টি বড় ফ্যাক্টর ভূমিকা রাখছে, তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি হলো, এর পোস্টের সংক্ষিপ্ততা।
এতে যেহেতু বিষয়বস্তু দ্রুত অদৃশ্য হয়ে যায় এবং ব্যবহারকারীরা তাদের জীবনকে সহজেই অন্যদের সঙ্গে শেয়ার করতে পারেন, তাই স্ন্যাপচ্যাটের ব্যবহারকারীরা চাপমুক্তভাবে অসাধারণ রূপে নিজেদের উপস্থাপন করতে পারেন।
সূত্র: গেজেটসনাউ