গত দুই দিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক হয়ে উঠেছিল সোফিয়াময়। তার সঙ্গে অনেকে যেমন ছবি ও বিভিন্ন নিউজ শেয়ার করেছেন, তেমনই তাকে দেখতে না পারার হতাশাও ব্যক্ত করেছেন অনেকে। আবার কেউ কেউ এই রোবটকে নিয়ে মজাও করেছেন। বৃহস্পতিবারও (৭ ডিসেম্বর) ফেসবুকে তাকে নিয়ে চলছে আলোচনা।
ঢাকার আগারগাঁওস্থ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) অনুষ্ঠিত ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডের চমক হিসেবে আনা হয় সোফিয়াকে। তাকে একনজর দেখতে এখানে ছিল প্রযুক্তিপ্রেমীদের উপচেপড়া ভিড়। কেউ কেউ রোবটটিকে দেখতে পেলেও বেশিরভাগই ব্যর্থ হয়েছে অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে। বিআইসিসি’র হল অব ফেমে যত মানুষ তাকে দেখেছেন, তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি মানুষ অপেক্ষায় ছিলেন বাইরে। আর রাস্তায় ছিল অগুনতি মানুষের দীর্ঘ সারি।গত ৫ ডিসেম্বর দুপুরে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে হংকং থেকে ঢাকায় এসে পৌঁছায় সোফিয়া। ওইদিন রাতে রাজধানীর আগারগাঁওস্থ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মহড়ায় অংশ নেয় সে। পরদিন (বুধবার) অনুষ্ঠানে এই রোবট কী করবে, মঞ্চে কিভাবে থাকবে, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কী কথা বলবে— মহড়ায় এসব ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করেন আয়োজকরা।
বুধবার বিকালে সোফিয়াকে নেওয়া হয় রাজধানীর আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে। সেখানে বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্মীর সঙ্গে সময় কাটায় সে। পরে রাতে রোবটটি ফিরে যায় হংকংয়ে। আইসিটি বিভাগের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, বুধবার রাত ১টায় থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে হংকংয়ের উদ্দেশে রওনা দেয় সোফিয়া। সঙ্গে ছিলেন তার নির্মাতা ডেভিড হ্যানসন ও রোবটের একজন গাইড।
সোফিয়াকে দেখে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কল সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিংয়ের (বাক্য) সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ হোসেন। তিনি এই রোবটকে প্রশ্ন করারও সুযোগ পেয়েছিলেন বলে জানান। তার কথায়, ‘এটা একটা অসাধারণ অনুভূতি। একেবারে মানুষের মতো সে। প্রশ্ন করলে সাড়া দেয়। তার মুখের অভিব্যক্তিও বোঝা যায়।’