‘ডাক টাকা’ কী, লাগবে কী কাজে

ব্যাংক হিসাব ছাড়াই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কেনাকাটার একটি সরকারি সেবাই হচ্ছে ‘ডাক টাকা’। সোমবার দুপুরে সচিবালয়ের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ‘ডাক টাকা’ নামে এ সেবার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

ডাক টাকা উদ্বোধনের ছবি

এই সেবার সুবিধা পেতে ডাকঘরে গিয়ে মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে ২ টাকা দিয়ে প্রথমে একটি হিসাব খুলতে হবে। তারপরে ডাকঘরের পোস্টাল ক্যাশ কার্ড দিয়ে মোবাইলের সেই হিসাবে টাকা রিচার্জ বা অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করতে হবে। এরপর প্রয়োজনে কেনাকাটা করে দাম মেটানোর সময় এনএফসি (নিয়ার ফিল্ড কমিউনিকেশন) ব্যবহার করে বা কিউআর (কুইক রেসপন্স) কোডের ওপর মোবাইল ফোনটি ধরলেই পেমেন্ট করা হয়ে যাবে। মোবাইল ফোনটিই তখন হয়ে যাবে ডিজিটাল ওয়ালেট। আরও ওয়ালেটের মধ্যে যে টাকা থাকবে সেই টাকাই হলো ‘ডাক টাকা’।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, দেশের ৮ হাজারের বেশি ডাকঘরের মাধ্যমে ৩ কোটি আনব্যাংকড (যাদের ব্যাংক হিসাব নেই) মানুষকে ব্যাংকিং সুবিধা দিতেই এই উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। টাঙ্গাইলের বাসিন্দা মর্জিনা বেগমের মোবাইল নম্বর দিয়ে হিসাব খুলে এই সেবার উদ্বোধন করা হয়। মর্জিনা বেগমের কোনও ব্যাংক হিসাব ছিল না।

ডিজিটাল পদ্ধতিতে আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে ‘ডিজিটাল ওয়ালেট’টি ব্যবহার করা যাবে। এর মাধ্যমে মার্চেন্ট ও সংশ্লিষ্ট খাতের ডিজিটাল ইকোসিস্টেমে অংশ নেওয়াও সম্ভব হবে। ডাক টাকা ব্যবহার করে কার্ড (পোস্টাল ক্যাশ কার্ড), অ্যাপ ও এমপিওএসসহ কেনাকাটা বা লেনদেনে বিভিন্ন চ্যানেল ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। এটিতে কিউআর কোড সুবিধাও রাখা হয়েছে।

জানা গেছে, ডি-মানি প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে বিনা খরচে ‘ডাক টাকা’ হিসাব খোলা যাবে। হিসাব খুলতে লাগবে মাত্র ২ টাকা যা হিসাবে সর্বনিম্ন ব্যালেন্স হিসেবে জমা থাকবে। ডাকঘরের পোস্টাল ক্যাশ কার্ড কিনে এই হিসাবে ক্যাশ ইন (টাকা জমা দেওয়া, পাঠানো) এবং ক্যাশ আউট (টাকা ওঠানো) করা যাবে। এমনকি বিল দেওয়া, অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে লেনদেনও করা যাবে। আগামী ৯০ দিনের মধ্যে ডাক টাকার বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হবে বলেও অনুষ্ঠানে জানানো হয়।