‘লাস্ট মাইল কানেক্টিভিটি’ সেবা প্রদানে কার্যপরিধি সুনির্দিষ্ট হচ্ছে

1_8yJQjDd47s-vO9K6DTW4_wসরকারের আইসিটি বিভাগের ‘ইনফো সরকার-৩’ প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ের কাজে এনটিটিএন (ভূগর্ভস্থ ক্যাবল সেবা) ও আইএসপিগুলোর (ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান) মধ্যে ‘লাস্ট মাইল কানেক্টিভিটি’র কার্যপরিধি নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা কাটতে শুরু করেছে। আইসিটি বিভাগ থেকে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে (বিটিআরসি) চিঠি পাঠিয়ে এ বিষয়ে আইনি ও সুনির্দিষ্ট মতামত আহ্বান করা হয়েছে। এতদিন আইএসপিকে বাইরে রেখে শুধু এনটিটিএনকে দিয়েই কাজ চালানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল।

প্রকল্পটির পরিচালক ডা. বিকর্ণ কুমার ঘোষ স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে জানানো হয়েছে— ইনফো সরকার-৩ প্রকল্পের আওতায় ২ হাজার ৬০০ ইউনিয়নকে অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সংযুক্ত করা হবে। উল্লিখিত কাজ দরপত্রের মাধ্যমে এনটিটিএন’কে দিয়ে সম্পাদন করা হচ্ছে। আইসিটি নেটওয়ার্ক রক্ষণাবেক্ষণের কাজ সম্পাদনের লক্ষ্যে আগামী ২০ বছরের জন্য এনটিটিএন ও বিসিসি’র (বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল) মধ্যে চুক্তিস্বাক্ষর হবে। এ অবস্থায় দেশের প্রচলিত আইনে লাস্ট মাইল কানেক্টিভিটির মাধ্যমে ইন্টারনেট সেবা প্রদানে এনটিটিএন ও আইএসপিদের কার্যপরিধির বিষয়ে আইনি বিধি-বিধান ও সুনির্দিষ্ট মতামত প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হয় চিঠিতে।

২০১৬ সালের ২২ ডিসেম্বর সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে ‘ইনফো সরকার-৩’ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৩১৯ কোটি ২৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে ছিল ১ হাজার ২০০ ইউনিয়নকে ফাইবার অপটিক ক্যাবলের আওতায় আনা ও ৫৫৪টি মিনি বিপিও সেন্টার গড়ে তোলা। একনেক অনুমোদিত বর্তমান প্রকল্পের ব্যাপ্তি বেড়েছে অনেক। শুধু ইউনিয়নই বেড়েছে ১ হাজার ৪০০টি। ফলে এই কাজে এখন মোট ইউনিয়নের সংখ্যা ২ হাজার ৬০০টি।

ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন আইএসপিএবি’র সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এর মাধ্যমে প্রমাণ হলো আমাদের দাবিই সঠিক। আগে যে অবস্থান ছিল এখন সেটাতেই ফিরে যাওয়া হচ্ছে। এটা আমাদের শিল্পের জন্য একটি আনন্দের খবর। এই সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতে সুফল বয়ে আনবে সবার জন্য।’
জানা গেছে, ২০১৮ সালের মধ্যে ফাইবার অপটিক ক্যাবল সংযোগের আওতায় আনা হবে দেশের ২ হাজার ৬০০ ইউনিয়ন। ফলে এসব স্থানে পৌঁছাবে ব্রডব্যান্ড (উচ্চগতি) ইন্টারনেট। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে চীন সরকারের আর্থিক সহযোগিতায়।