মোস্তাফা জব্বার আরও বলেন, ‘আনুষ্ঠানিকতা সাপেক্ষে ওয়ালটনের ডিজিটাল ডিভাইস নির্মাণ কারখানাকে হাইটেক পার্ক ঘোষণা করা হয়েছে। ওয়ালটন আবেদন করলেই আমরা তাদেরকে হাইটেক পার্কের স্বীকৃতি দেবো। এখান থেকে উৎপাদিত পণ্যগুলো (ডেস্কটপ, ল্যাপটপ, ট্যাব, স্মার্টফোন) কর অবকাশ সুবিধা পাবে। এসব পণ্য বিদেশে রফতানি করা হলে সেক্ষেত্রে সরকার ঘোষিত আর্থিক প্রণোদনাও দেওয়া হবে।’
অনুষ্ঠানে আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, ‘এটা ওয়ালটনের একটি সাহসী উদ্যোগ। এই উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। সফটওয়্যার খাতের মতো হার্ডওয়্যার খাতে সরকার সহযোগিতা করবে। এখানে উৎপাদিত প্রযুক্তি পণ্যগুলো সরকার কিনে তাদের সহযোগিতা করবে। এছাড়া আমরা অচিরেই প্রযুক্তি পণ্য উৎপাদক দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছি।’
ওয়ালটনের সিনিয়র অপারেটিভ ডিরেক্টর উদয় হাকিম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এখানে ল্যাপটপের পাশাপাশি ডেস্কটপ মনিটর তৈরি করা হবে। আমরা মানের সঙ্গে আপস করবো না। সারাদেশের সব জায়গায় যেন আমাদের প্রযুক্তি পণ্য পাওয়া যায় সে ব্যাপারে সচেষ্ট থাকবো। এখানে প্রযুক্তি পণ্যের অ্যাসেম্বলিং নয়, মাদারবোর্ডসহ পণ্য সম্পূর্ণভাবে তৈরি করা হবে। যেহেতু বলা হয়ে থাকে ৫০ শতাংশ প্রযুক্তি পণ্যের যন্ত্রাংশ নিজ দেশে তৈরি করা হলে সেটাকে উৎপাদনই বলে।’
প্রসঙ্গত, গাজীপুরের চন্দ্রায় ৮০ বিঘা জমির ওপরে ওয়ালটনের কারখানা গড়ে উঠেছে।