বিটিআরসির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশন বিভাগের সিনিয়র সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আমিন স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় আইআইজিগুলোকে এএনএস অপারেটরগুলোর ইন্টারনেটের ডাউনলোড (ডাউনস্ট্রিম) গতি ২৫ কেবিপিএস (কিলোবিট পার সেকেন্ড) সরবরাহ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই নির্দেশনা মোবাইল ইন্টারনেট, আইএসপি ও ওয়াইম্যাক্সসহ সব ধরনের ইন্টারনেট সেবায় কার্যকর হবে।
নির্দেশনায় এসএসসি ও সমমানের পরবর্তী পরীক্ষাগুলো অনুষ্ঠানের প্রতিটি দিনে (১২, ১৩, ১৫, ১৭, ১৮, ১৯, ২০, ২২ ও ২৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ইন্টারনেটের গতি কমিয়ে ২৫ কেবিপিএসে রাখতে বলা হয়েছে। এছাড়া, ১৮ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১২টা থেকে আড়াইটা পর্যন্তও ইন্টারনেটের গতি কমিয়ে রাখার নির্দশ দেওয়া হয়েছে।
প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা বলছেন, এই গতিতে ইন্টারনেট চালু রাখা আর বন্ধ রাখা প্রায় একই কথা। এই গতিতে কিছু ডাউনলোড করা দূরে থাকুক, ইন্টারনেট ব্যবহার করাই কঠিন হবে। এই গতিতে ইন্টারনেট ব্যবহার একেবারে অসম্ভব একটি ব্যাপার।
একটি ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের (আইএসপি) নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, ‘ধরা যাক, আমার আইএসপি’র গ্রাহক ১০ হাজার। তাহলে মাত্র ২৫ কেবিপিএস ব্যান্ডউইথ দিয়ে ১০ হাজার গ্রাহককে কী সেবা দেওয়া হবে? সরকার কৌশল গ্রহণ করে বলছে, ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করা হচ্ছে না। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ইন্টারনেট সেবা একরকম বন্ধই থাকবে।’
প্রসঙ্গত, প্রশ্নফাঁস রোধে রবিবার সকালেও একঘণ্টার জন্য ইন্টারনেটের গতি কমিয়ে রাখার নির্দেশনা দিয়েছিল বিটিআরসি। যদিও সেই নির্দেশনা কার্যকর করতে করতেই সময় পার হয়ে যায়।