বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর ঘোষিত বাজেট নিয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, ‘অপারেটিং সিস্টেমস, ডাটাবেজ, ডেভেলপমেন্ট টুলস ও সাইবার সিকিউরিটি আমদানির ওপর থেকে শুল্ক কমানোর জন্য বেসিস থেকে প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু ঢালাওভাবে এগুলোর পাশাপাশি অন্যান্য কম্পিউটার সফটওয়্যারেও আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে এবং মূসক সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এতে বাংলাদেশে উৎপাদিত হয় এরকম সফটওয়্যারও বিদেশ থেকে আমদানি উৎসাহিত হবে এবং দেশীয় সফটওয়্যার শিল্প বিকশিত হবে না। পাশাপাশি, তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর সেবার (ITES) ওপর বাজেটে মূসক বাড়িয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। ITES’র ওপর থেকে সম্পূর্ণরূপে মূসক প্রত্যাহারের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানাই।’
অনলাইনে পণ্য বিক্রি তথা ই-কমার্স ভ্যাটের আওতামুক্ত রাখায় অর্থমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান তিনি। একইসঙ্গে ‘অনলাইনে পণ্য বিক্রি’ এবং ‘ভার্চুয়াল বিজনেস’ এর সংজ্ঞা স্পষ্টিকরণেরও অনুরোধ জানান তিনি। সব বিভাগ ও দফতরের জন্য ইন্টারনেটের ওপর থেকে ১৫ শতাংশ ভ্যাট সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহারেরও অনুরোধ করেন আলমাস কবীর।
বিসিএস সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত সরকার বলেন, ‘মূসক অব্যাহতি সংক্রান্ত নতুন প্রজ্ঞাপন জারির ফলে কম্পিউটার ও এর যন্ত্রাংশের মূল্য প্রায় ১১ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে, যা ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের অন্তরায়। কম্পিউটার, প্রিন্টার এবং ফটোকপিয়ারে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্থিতিশীল রাখার জন্য ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজার অত্যাবশ্যকীয় পণ্য। ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজারের শুল্কহার ১ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। আমরা ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজারের শুল্কহার আগের অবস্থায় রাখার অনুরোধ করছি।’
আইএসপিএবির সভাপতি এম এ হাকিম বলেন, ‘ইন্টারনেট সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছানোর জন্য নেটওয়ার্ক ইকুইপমেন্টের প্রয়োজন হয়। নেটওয়ার্ক যন্ত্রপাতির সহজলভ্যতা ও সুলভ মূল্য আইসিটি উন্নয়নে প্রধান হাতিয়ার। ইন্টারনেট যন্ত্রপাতি যেমন, মডেম, ইথারনেট ইন্টারফেস কার্ড, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সুইচ, হাব, রাউটার, সার্ভার ব্যাটারির ওপর বর্তমানে ২২ দশমিক ১৬ শতাংশ ভ্যাট ও শুল্ক আরোপিত রয়েছে; যেটা এ শিল্পের প্রসারে একটি বড় প্রতিবন্ধকতা এবং তা কমিয়ে শূন্য করার জন্য আবেদন জানানো হয়েছিল।’ তিনি বিষয়টি পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানান।
বাক্য’র সভাপতি ওয়াহিদুর রহমান শরীফ বলেন, ‘বিপিও কোম্পানিগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য আর্থিক ও প্রশিক্ষণ সহযোগিতা প্রয়োজন। এছাড়াও আইটি/আইটিএস রফতানিতে ১০ শতাংশ নগদ প্রণোদনার পরিবর্তে ৩০ শতাংশ প্রণোদনা দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই।’
সংবাদ সম্মেলনে বেসিসের পক্ষে আরও উপস্থিত ছিলেন জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ফারহানা এ রহমান, সহ-সভাপতি (প্রশাসন) শোয়েব আহমেদ মাসুদ, সহ-সভাপতি (অর্থ) মুশফিকুর রহমান।