এই এয়ারব্যাগটির কৃত্রিম চেতনাশক্তি রয়েছে। একটি স্মার্টফোন শূন্যে ভাসছে কিনা চেতনাশক্তির মাধ্যমে এটা সহজেই বুঝতে পারে। অর্থাৎ হাত থেকে স্মার্টফোন পড়ার সময় এয়ারব্যাগটি এটা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বুঝে যায়। আর তখন স্মার্টফোনকে সুরক্ষিত করতে ফোনের চারকোনা থেকে বের হয়ে আসে চারটি কাঁটা। এই কাঁটাগুলোই স্মার্টফোনে কোনও আঘাত লাগতে দেয় না।
দুর্ঘটনা থেকে ডিভাইসকে রক্ষা করতে যে এয়ারব্যাগ ব্যবহার হবে, এটি মূলত একটি স্মার্টফোন কেস বা কভার। সুরক্ষার জন্য ফোনে এটি লাগিয়ে রাখতে হবে। এরপর যখনই হাত ফসকে স্মার্টফোন পড়বে, ঠিক তার আগে চারকোনা থেকে কাঁটা বের হয়ে স্মার্টফোনকে অক্ষত রাখবে।
জার্মান ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থী ফিলিপ ফ্রেঞ্জ এয়ারব্যাগ উদ্ভাবনের জন্য ইতোমধ্যে পুরস্কৃত হয়েছেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, আগামী মাস থেকে এই ব্যাগটি সবার জন্য বাজারে অবমুক্ত করা হবে। এতে ব্যবহারকারীদের অর্থ অপচয় অনেক কমে যাবে। বিশেষ করে স্মার্টফোন হাত থেকে পড়ার পর ক্ষতিগ্রস্ত স্মার্টফোন ঠিক করতে কিংবা নতুন করে একটি ফোন কিনতে যে টাকা ব্যয় হয় এই কেস ব্যবহার করলে তেমন কিছু করতে হবে না।
সূত্র: দ্য ভার্জ