বিশ্বের ৮০টি দেশে বাংলাদেশ সফটওয়্যার রফতানি করছে: মোস্তাফা জব্বার

মোস্তাফা জব্বার, ছবি- সংগৃহীত

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটাল শিল্প বিপ্লবে বাংলাদেশ বিশ্বে নেতৃত্ব দেওয়ার জায়গায় পৌঁছেছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৮০টি দেশে সফটওয়্যার রফতানি করছে।
শনিবার রাজধানীতে জাতীয় উন্নয়ন মেলা ২০১৮ উপলক্ষে ঢাকা জেলা প্রশাসন আয়োজিত ‘শিক্ষিত জাতি সমৃদ্ধ দেশ- শেখ হাসিনার বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের নতুন প্রজন্ম অত্যন্ত মেধাবী। নতুন প্রজন্মের বিপুল সম্ভাবনাময় প্রতিভাকে চলমান ডিজিটাল শিল্প বিপ্লবকে গতিশীল করতে কাজে লাগাতে না পারলে বিশাল জনসম্পদ আগামী দিনের বিস্ময়কর ডিজিটাল প্রযুক্তি আইওটি, রোবটিক, বিগডাটা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কিংবা ৫জি’র কারণে কর্মবিমুখ হয়ে পড়বে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষা ছাড়া উন্নত জাতি গঠন করা যায় না, এই উপলব্ধি থেকেই মুক্তিযুদ্ধের পর ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়েও বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষাকে জাতীয়করণ করেছিলেন। দূরদৃষ্টিসম্পন্ন এই মহান রাষ্ট্রনায়ক ১৯৭৩ সালে আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নে বাংলাদেশের সদস্যপদ অর্জন করেছিলেন এবং ১৯৭৫ সালের ১৪ জুন বহির্বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের কানেক্টিভিটি স্থাপনে বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
মোস্তফা জব্বার বলেন, বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার ইতিহাস শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলেই হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে ১৯৯৬-২০০১ সালে বৈপ্লবিক যাত্রা শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার মোবাইলের মনোপলি ব্যবসা বন্ধ করেন এবং কম্পিউটারের ওপর থেকে ট্যাক্স ভ্যাট প্রত্যাহার করে কম্পিউটার সাধারণের ক্রয়ক্ষমতার নাগালে রাখেন।
মোস্তাফা জব্বার ডিজিটাল শিক্ষা সম্প্রসারণের আবশ্যকতা তুলে ধরে বলেন, মোট জনসংখ্যার শতকরা ৬৫ ভাগ তরুণ। এ বিশাল জনগোষ্ঠীকে জনসম্পদে পরিণত করতে পারলে বিশেষ করে ডিজিটাল শিক্ষায় শিক্ষিত করতে পারলে বাংলাদেশের অগ্রগতির অগ্রযাত্রা থামানো যাবে না।
মানবসম্পদে পরিণত করতে অতীতমুখী শিক্ষার পরিবর্তে তাদেরকে ডিজিটাল শিক্ষায় শিক্ষিত করার বিকল্প নেই। খবর বাসস।