কোয়ান্টাম প্রযুক্তিতে শত কোটি ডলার বিনিয়োগ

কোয়ান্টাম প্রযুক্তিঅবশেষে কোয়ান্টাম প্রযুক্তিকে এগিয়ে নিতে ‘ন্যাশনাল কোয়ান্টাম ইনিশিয়েটিভ অ্যাক্ট’ প্রণয়ন করলো যুক্তরাষ্ট্র। এই আইনটি কার্যকর করতে গত সপ্তাহে ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারের একটি বিলে স্বাক্ষর করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল ট্রাম্প। কিছুটা অর্থনৈতিক চাপের মুখে মার্কিন সরকার নতুন এই আইনটি প্রণয়ণ করে। এটি দেশটিতে ভবিষ্যত কোয়ন্টাম কর্মসংস্থানের পরিধিকে বাড়াতে এবং গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। তাই কোয়ান্টাম তথ্য বিজ্ঞানের উন্নয়নে পাঁচ বছর মেয়াদি বিলটিকে এখন আমেরিকার জন্য একটি জাতীয় মহাপরিকল্পনা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে ছাড় করা এ তহবিল থেকে ভবিষ্যত কোয়ান্টাম প্রযুক্তির গবেষণা, উন্নয়ন ও বিকাশে মানবসম্পদ উন্নয়নে ব্যয় করা হবে।
বস্তুত, কোয়ান্টাম বিজ্ঞানের গবেষণায় বিনিয়োগে আমেরিকার রয়েছে দীর্ঘ ইতিহাস। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার মাউন্টেন ভিউয়ে কড়া পাহারায় কোয়ান্টাম কম্পিউটার নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছে প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগল। বসে নেই মাইক্রোসফট ও আইবিএম। এই দুটি প্রতিষ্ঠান জোরেশোরে চালাচ্ছে কোয়ান্টাম সংক্রান্ত গবেষণা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অন্যদের তুলনায় কিছুটা এগিয়েই আছে গুগল। আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান গুলোর এই প্রতিযোগিতায় শামিল হয়েছে চীনা আলিবাবা ও হুয়াওয়ে।
জানা গেছে, হোয়াইট হাউসের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নীতির অংশ হিসেবে এই আইনের অধীনে একটি ন্যাশনাল কো-অর্ডিনেশন অফিস খোলা হবে। আমেরিকাকে কেয়ান্টাম বিপ্লবের অগ্রগতিতে সহায়তা করতে এই আইনকে বহু-বর্ষিয় কৌশলগত পরিকল্পনা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। পরিকল্পনাটির একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য হচ্ছে এমন একটি গবেষণা কেন্দ্র তৈরি করা যেখানে ভবিষ্যত কোয়ান্টাম গবেষকদের প্রশিক্ষণ ও প্রশিক্ষণের জন্য বিভিন্ন বিভাগ থেকে (কম্পিউটার বিজ্ঞান, পদার্থ বিজ্ঞান ও প্রকৌশল) শিক্ষকদের একত্রিত করবে।

সূত্র: টেক পাওয়ার আপ