সম্মেলনে বক্তারা: বাংলাদেশে ওপেন একসেস নীতিমালা প্রয়োজন

সম্মেলনের সমাপনী পর্ববাংলাদেশে ওপেন একসেস নীতিমালা প্রয়োজন। এর ফলে বিভিন্ন ধরনের গবেষণা কার্যক্রম, তথ্য সবার জন্য উন্মুক্ত হবে যা গবেষকসহ যেকোনও ব্যবহারকারীর জন্য প্রাপ্তির জায়গাটিকে সহজ করবে। ঢাকায় প্রথমবারের মতো আয়োজিত দু’দিনের ওপেন একসেস সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের সমাপনী পর্বে এ আহ্বান জানানো হয়। 'এশিয়া ওপেন একসেস ঢাকা ২০১৯' নামের এ সম্মেলন আয়োজন করে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি),কনফেডারেশন অব ওপেন একসেস রিপোজিটোরিস (সিওএআর)। রাজধানীর ফার্মগেটের বিএআরসি'র মিলনায়তনে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে বিশ্বের ১৪টি দেশের গবেষক, শিক্ষাবিদসহ ওপেন একসেস নিয়ে কাজ করা অনেকেই অংশ নেন।

আজ ৭ মার্চ সম্মেলনের শেষ দিনে একাধিক বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপনা, আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। পরে সমাপনী অনুষ্ঠানে কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ওয়ায়েস কবীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আব্দুর রউফ, যুগ্ম সচিব হাসানুজ্জামান কল্লোল, সিওএআরের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথেলিন শেরের, নির্বাহী সদস্য কাজু ইমাজি প্রমুখ।

সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন

সমাপনী পর্বে সম্মেলনের উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলো থেকে সুপারিশ তুলে ধরেন আইসিডিডিআরবি লাইব্রেরি অ্যান্ড ইনফরমেশন সেন্টার বিভাগের প্রধান মো. নাজিম উদ্দিন। তিনি ওপেন একসেস নীতিমালা, উন্মুক্ত লাইসেন্সের ব্যবহার বাড়ানো, ওপেন রিপোজিটরির আধুনিকায়নসহ নানা বিষয় নিয়ে কাজ করার আহ্বান জানান। এছাড়া সম্মেলনের সহ-আয়োজক সেন্টার ফর ওপেন নলেজের (সিওকে) সভাপতি অধ্যাপক মোস্তফা আজাদ কামাল ওপেন এডুকেশন নীতিমালাটিও দ্রুত চালু করার ওপর গুরুত্ব দেন। 

সম্মেলনের সমন্বয়ক ও বিএআরসি প্রধান ডকুমেন্টেশন কর্মকর্তা ড. সুস্মিতা দাস বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, 'আমরা এশিয়ার দেশগুলোতে ওপেন একসেসের নানা কার্যক্রম তুলে ধরেছি। পাশাপাশি বাংলাদেশের কার্যক্রম এবং কোন কোন বিষয়গুলোতে গুরুত্ব দেওয়া দরকার সেগুলো নিয়েও আলোচনা করেছি।'