এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে বর্তমান সরকার গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন। ছাত্রীদের জন্য বৃত্তি, ৬ মাসের মাতৃত্বকালীন ছুটি, বিনিয়োগ ইত্যাদি বিষয়গুলো তুলে ধরেন। তিনি জানান, দেশের প্রধানমন্ত্রী নারী, স্পিকার নারী, সংসদে নারী প্রতিনিধিত্ব, বিচার বিভাগ, প্রশাসন, পুলিশ বিভাগে রয়েছে নারী। তিনি উল্লেখ করেন, স্থানীয় সরকারে নারী প্রতিনিধিত্ব রয়েছে তিন ভাগের এক ভাগ। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনেও নারী সদস্য রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
প্রসঙ্গত, উদ্যোক্তাদের বৈশ্বিক সংগঠন ‘ইও’ (ইওর অর্গানাইজেশন)। এর বৈশ্বিক নাম ‘ইও গ্লোবাল’। বাংলাদেশ এর সদস্য হয়েছে ২০১৬ সালে। বাংলাদেশে ‘ইও বাংলাদেশ চ্যাপ্টার’ নামে পরিচিত এই সংগঠনটি।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইও বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের প্রেসিডেন্ট ফারজানা চৌধুরী। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ইও গ্লোবাল চেয়ার রোজমেরি অ্যান্ড্রেস। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ইও গ্লোবাল এসডিজি বাস্তবায়নে সহযোগী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে।’ তিনি জানান, এটি উদ্যোক্তাদের একটা বৈশ্বিক প্ল্যাটফরম। বিশ্বকে নতুন কিছু দিতেই সবাই একত্র হয়েছে। এটি একটি শুভ উদ্যোগ বলে তিনি মনে করেন। বাংলাদেশ থেকেই অ্যাওয়ার্ড দেওয়া শুরু হচ্ছে বলে তিনি জানান।
প্রথম দিনের অনুষ্ঠানে রয়েছে– দুটি প্যানেল ডিসকাশন ও অ্যাওয়ার্ড নাইট।
ইও বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের প্রেসিডেন্ট ফারজানা চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বিশ্বের ৫২টি দেশে রয়েছে ইও। আমাদের লক্ষ্য হলো ২০৩০ সাল। ওই সময়ে এসডিজি বাস্তবায়নে যে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে সে অনুযায়ী আমরা কাজ করছি।’ তিনি জানান, এই সম্মেলনের বিভিন্ন প্যানেল আলোচনায় যেসব সুপারিশমালা পাওয়া যাবে তা প্রতিবেদন আকারে সরকারকে দেওয়া হবে। তিনি মনে করেন, এসব সুপারিশ এসডিজি বাস্তবায়নে পলিসি তৈরি করতে সহায়ক হবে।
তিনি বলেন, ‘ইও হলো উদ্যোক্তাদের জন্য বড় প্ল্যাটফরম। এখানে তারা আইডিয়া, নলেজ, ভিউজ শেয়ার করতে পারছেন। এর মাধ্যমে তারা পেশা ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে উন্নতি করার সুযোগ পাবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘নারীর ক্ষমতায়ন বৃদ্ধি ও স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ইও নারী উন্নয়নে একটি নির্ভরযোগ্য সংস্থা হিসেবে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।’