টেলিকম খাতে প্রস্তাবিত কর প্রত্যাহার চায় অপারেটরগুলো

বাজেট ২০১৯-২০২০

মোবাইল ফোন ও টেলিযোগাযোগ শিল্প সংশ্লিষ্ট খাতে নতুন করে কর ও শুল্কের প্রস্তাব করায় হতাশা প্রকাশ করেছে মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো। তারা এই কর প্রত্যাহার এবং এই খাতের জন্য একটি করনীতি চালু করার অনুরোধ জানিয়েছে সরকারকে।  

বৃহস্পতিবার (জুন) মোবাইল ফোন অপারেটর রবির পাঠানো এক বিববৃতিতে বলা হয়েছে, বাজেটে মোবাইল টেলিযোগাযোগ শিল্প সংশ্লিষ্ট খাতে যেসব কর আরোপ করা হয়েছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক। প্রস্তাবিত কর ব্যবস্থার মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্য বাস্তবায়নে মোবাইল টেলিযোগাযোগ খাতের গুরুত্ব একটি বড় হোঁচট খাবে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাত উচ্চ করের বোঝায় জর্জরিত, যা বিশ্বে অন্যতম সর্বোচ্চ। বিদ্যমান কর কাঠামোতে বাজারে টিকে থাকা চারটি অপারেটরের মধ্যে তিনটিকেই বছরের পরে বছর লোকসানের বোঝা টেনে যেতে হচ্ছে।

এতদিন তিন অপারেটরের বিনিয়োগকারীদের অনেকটা বাধ্য হয়েই দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে ন্যূনতম কর দিয়ে আসতে হচ্ছিল। এবারের বাজেট ন্যূনতম এই করের হার বাড়িয়ে ২ শতাংশ করা হয়েছে, যা আমাদের হতাশ করেছে।

প্রস্তাবিত কর হার প্রত্যাহার করে এই খাতের জন্য একটি ইতিবাচক কর নীতি প্রণয়নের অনুরোধ করা হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে।

বাংলালিংক-এরচিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান বলেন, ‘গ্রাহকদের স্বার্থ রক্ষার্থে টেলিকম খাতের যে বিষয়গুলো আমরা দীর্ঘ সময় ধরে উত্থাপন করে আসছি, সেগুলো এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে প্রতিফলিত না হওয়ায় আমরা আশাহত। দেশের ডিজিটাল বিপ্লবকে ত্বরান্বিত করতে আমরা প্রতিনিয়ত গ্রাহকদের সাশ্রয়ী মূল্যে সেবা দেওয়ার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এমন একটি পরিস্থিতিতে মোবাইল ফোন সিম কার্ডের মাধ্যমে প্রদান করা সেবার ওপর সম্পূরক শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ১০ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া সিমের উপর কর ১০০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ২০০ টাকা করা হয়েছে। সম্পূরক শুল্ক ও সিম করের এই বৃদ্ধি দেশে ডিজিটাল সেবার প্রসারকে ব্যাপক ভাবে বাধাগ্রস্ত করবে বলে আমরা মনে করি।’

এদিকে অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটর অব বাংলাদেশ (অ্যামটব)-এর পক্ষ থেকেও একই বিবৃতি দেওয়া হয়েছে।