শুনানিতে বিশেষজ্ঞরা বলেন, জনগণের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয় এমন কাউকে ব্যবহার করে ডিপফেক ভিডিও তৈরি করা হলে স্বাভাবিকভাবেই তা বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে। আর ওই ডিপফেক ভিডিও যদি নেতিবাচক কিছু নিয়ে তৈরি করা হয় তাহলে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়তে পারে।
ডিপফেক ভিডিও হলো মূলত নকল এক ধরনের ভিডিও যাতে নির্দিষ্ট ব্যক্তির মুখভঙ্গি নকল করা হয় কিন্তু আড়ালে বক্তব্য দেন অন্যকেউ। আরও সহজভাবে বললে ধরা যাক, আপনার কোনও ফুটেজ কেউ নিলো এবং সেখানে আপনার বলা বক্তব্য ব্যবহার না করে মনগড়া বক্তব্য দিয়ে দিলো। এক্ষেত্রে আপনার মুখভঙ্গিকে ওই বক্তব্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ রাখা হবে যেন কেউ বুঝতে না পারে।
অর্থাৎ, ডিপফেক ভিডিও হলো এমন ভিডিও যাতে নির্দিষ্ট বক্তা থাকবেন ঠিকই কিন্তু এমন সব বক্তব্য জুড়ে দেয়া হবে যা তিনি কখনোই বলেননি। ফলে ওই নির্দিষ্ট ব্যক্তির অনুসারীরা ভুল পথে পরিচালিত হবে।
ডিপফেক ভিডিওর ঝুঁকি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফরেন পলিসি ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তা ক্লিন্ট ওয়াটস বলেন, এসব ভিডিওর কারণে জননিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়তে পারে। এজন্য বিষয়টি নিয়ে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
কয়েকদিন ধরেই ডিপফেক ভিডিও নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। সম্প্রতি ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গের এ ধরনের ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে। যদিও এটি ফেসবুক থেকে সরাবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
সূত্র: ইন্টারনেট