টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি প্রকাশিত এক বছরের প্রতিবেদনে এই চিত্র পাওয়া গেছে। প্রতিবেদনটি সোমবার (১৪ অক্টোবর) প্রকাশ করা হয়।
গত বছরের ১ অক্টোবর অপারেটর বদলের (এমএনপি) সেবা চালু করে বিটিআরসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত এক বছরে সাড়ে ৯ লাখ গ্রাহক অপারেটর বদলের জন্য আবেদন করেন। এর মধ্যে প্রায় দেড় লাখ গ্রাহক বিভিন্ন সমস্যার কারণে অপারেটর বদল করতে পারেননি।
এতে বলা হয়েছে, গত এক বছরে গ্রামীণফোন এই প্রক্রিয়ায় ১ লাখ ২১ হাজার ৫৭৯ জন গ্রাহক পেয়েছে। বাংলালিংক পেয়েছে ৬৮ হাজার ৫২৮ জন এবং টেলিটক পেয়েছে ৪ হাজার ৪২৭ জন। অন্যদিকে গ্রামীণফোন ছেড়েছেন ২ লাখ ৭৪ হাজার জন, রবি ছেড়েছে ১ লাখ ১৯ হাজার জন, বাংলালিংক ২ লাখ ৮৯ হাজার এবং টেলিটক ছেড়েছেন ৮ হাজার গ্রাহক।
গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে রবির চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম বলেন, এমএনপি নিয়ে বিটিআরসির প্রকাশিত প্রতিবেদন প্রমাণ করে রবি দেশের সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত ডিজিটাল ব্র্যান্ড। যদিও কারিগরি জটিলতায় এমএনপির মাধ্যমে রবি নেটওয়ার্কে আসতে ইচ্ছুক ৫০ শতাংশের বেশি গ্রাহকের আবেদন গত এক বছরে সফল হয়নি বলে দাবি করেছেন তিনি।
বিবৃতিতে অভিযোগ করে বলা হয়েছে, করপোরেট গ্রাহকেরা এমএনপির মাধ্যমে অপারেটর পরিবর্তনে অনেক ক্ষেত্রেই হয়রানিতে পড়ছেন। এমএনপি সেবাসংক্রান্ত সমস্যাগুলো দূর হলে এটি আরও সফল হবে বলে বিবৃতিতে বলা হয়েছে।