ভূমিকম্প মাপতে সহায়তা করবে সাবমেরিন ক্যাবল

সাবেমেরিন ক্যাবলভূমিকম্প মাপতে সাহায্য নেওয়া হবে সাবমেরিন ক্যাবলের। কারণ সমুদ্রের তলদেশ থেকে উৎপত্তি হওয়া ভূমিকম্প সিসমোগ্রাফ যন্ত্র দিয়ে অনেক সময় ধরা যায় না।  ফলে সমুদ্রের তলদেশের কোথায় কী ফাটল আছে বা এর যাবতীয় খোঁজ খবর এখনও অনেকটাই গবেষকদের নাগালের বাইরে।

কিন্তু সমুদ্রে এমন যন্ত্র স্থাপন করা এবং তা রক্ষণাবেক্ষণ করা অনেক কঠিন হওয়ার কারণেই তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। এরই বিকল্প খুঁজতে গিয়ে গবেষকরা এখন ভাবছেন সমুদ্রের নিচে থাকা ফাইবার অপটিক ক্যাবল ব্যবহারের কথা। দেখা গেছে, ফাইবার অপটিক ক্যাবলের ভেতরে যে আলোর মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদান করা হয় সেখানে ক্যাবলটি যদি কোনও কারণে নড়ে ওঠে তাহলে এই আলোর চলাচল একটু বিক্ষিপ্ত হয়। এমনকি ক্যাবলটি যদি অল্প কয়েক ন্যানোমিটার কেঁপে ওঠে তাহলেও এই ঘটনা দেখা যায়।

ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্বিবদ্যালয়ের গবেষক নাথানি লিন্ডসে বলেন, সমুদ্রের নিচে আমাদের ভূমিকম্পের অনেক জরিপ চালানো উচিত। আমরা যদি উপকূল থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরেও যন্ত্রপাতি স্থাপন করতে পারি তাহলেও অনেক কাজ হবে।

প্রযুক্তি সাইট টেকক্রাঞ্চ জানায়, এই ‘ব্যাকস্ক্যাটার’ অর্থাৎ কম্পনের ঘটনা পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে অনেক সুক্ষ্ণভাবে ভূ-কম্পনের পরিমাপ করা সম্ভব হচ্ছে। আর এই কাজে অতিরিক্ত তেমন কোনও যন্ত্রও প্রয়োজন পড়বেনা। শুধু ক্যাবলটির শেষ প্রান্তে একটি যন্ত্র লাগিয়েই সাইটে বসে এই ঘটনাকে পর্যবেক্ষণ করলেই হবে।

তবে গবেষকরা জানান, যে সিগন্যালটি নিয়ে তারা কাজ করছেন সেটি অন্যান্য ঘটনার মাধ্যমে প্রভাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই এর সমাধান নিয়ে এখনও গবেষণা চলছে। গবেষকরা আরও জানান, এটি সমাধান হয়ে গেলে সমুদ্রের নিচের একটি বড় অংশই কোনও যন্ত্র স্থাপন ছাড়া তাদের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণের আওতায় আনা যাবে।