প্রসঙ্গত, গত ৩ ফেব্রুয়ারি সংবাদ সম্মেলন করে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান জানান, বাজারে থাকা তাদের সিম ১-২ সপ্তাহের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। খুচরা বিক্রেতাদের কাছে যে সিম আছে তা দিয়ে আরও কিছুদিন চলবে। এরপর বাজারে গ্রামীণফোনের সিম (০১৭... ও ০১৩... নম্বর সিরিজ) আর পাওয়া যাবে না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গ্রামীণফোনের হেড অব এক্সটার্নাল কমিউনিকেশন মোহাম্মদ হাসান বলেন, ‘আমাদের স্টক থাকা পর্যন্ত নতুন সিম কেনা যাবে। এ বিষয়ে আমরা বিটিআরসির (টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা)এ সঙ্গে আলোচনা করছি। আশা করছি গ্রাহক সেবার কথা বিবেচনা করে তারা শিগগিরই ইতিবাচক সিদ্ধান্ত দেবে। তবে সিম রিপ্লেসমেন্ট স্বাভাবিক আছে এবং এর ওপর কোনও বাধা নেই।’
ঘন ঘন কলড্রপের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘গ্রামীণফোনের কলড্রপ বিটিআরসির নির্দিষ্ট মানদণ্ডের অনেক নিচেই রয়েছে। আমাদের সব নেটওয়ার্ক সাইট এখন থ্রিজি। ইতোমধ্যে ১০ হাজারের বেশি নেটওয়ার্ক সাইট ফোর-জিতে রূপান্তর করা হয়েছে। যার মাধ্যমে আমাদের ৭০ ভাগ গ্রাহক ফোর-জি সেবার আওতার এসেছে। তবে নিয়ন্ত্রণমূলক বিধিনিষেধ অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে গ্রাহক সেবা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আশা করছি, বিটিআরসি নিরবচ্ছিন্ন গ্রাহক সেবার কথা বিবেচনা করে গ্রামীণফোনের ওপর থেকে সব ধরনের বিধিনিষেধ তুলে নেবে।’
কোনও সিম ১৫ মাস একটানা বন্ধ থাকলে সেই সিমের মালিকানা থাকবে না। সেই সিম সংশ্লিষ্ট অপারেটর বিক্রির জন্য বাজারে ছাড়তে পারবে। তবে বিটিআরসি কাছ থেকে অনাপত্তি পত্র (এনওসি) নিয়ে। গ্রামীণফোনের এমন সিমের সংখ্যা প্রায় ৩০ লাখ। এই সিম বাজারে ছাড়ার জন্যও তারা বিটিআরসি'র অনুমতি পাচ্ছে না। অনুমতি পাওয়া গেলেও অপারেটরটি সাময়িক সমস্যা উৎরে যেতে পারতো বলে মনে করছেন অপারেটরটির শীর্ষ কর্মকর্তারা।
জানা গেছে, গ্রামীণফোনের ০১৭ নম্বর সিরিজের জন্য বরাদ্দ ছিল ১০ কোটি সিম। সেই সিমের কোটা শেষের দিকে। আর নতুন নম্বর সিরিজ ০১৩ দু’টির সিরিয়ালের (০১৩০ ও ০১৩১) বিপরীতে বরাদ্দ ছিল ২ কোটি সিম। সেই কোটাও প্রায় শেষ। গ্রামীণফোনের কাছে সরকারের বকেয়া পাওনা থাকায় দীর্ঘদিন ধরেই এনওসি দেওয়া বন্ধ রেখেছে বিটিআরসি। ফলে নতুন সিমের জন্য অনুমতি পাচ্ছে না গ্রামীণফোন।