জানা গেছে, গত ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে অনলাইনে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। ভোট গ্রহণ চলবে ২১ ফেব্রুয়ারি অস্ট্রেলিয়ার স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টা পর্যন্ত, বাংলাদেশ সময় একইদিন সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত। বাংলাদেশ থেকে আগত এপনিক সদস্যরা নিজে ভোট দিয়ে এখন অন্যদেরও ভোট দিতে উৎসাহ দিচ্ছেন। দেশে যোগাযোগ করে যারা এখনও ভোট দেননি, তাদের ভোট দিতে অনুরোধ করছেন। বাংলাদেশে এই সংগঠনের প্রায় তিন হাজার ভোটার রয়েছেন বলে এপনিক সূত্র জানায়।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এটা এশিয়া প্যাসিফিকে তথ্যপ্রযুক্তির অনেক বড় সংগঠন। তথ্যপ্রযুক্তির প্যারেন্ট প্ল্যাটফরম হিসেবে খ্যাত এপনিক। সেই প্ল্যাটফরমে বাংলাদেশ থেকে কেউ নেতৃত্ব দেবেন— এটা দেশের জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি। এর আগে বাংলাদেশ থেকে এই প্ল্যাটফরমের নির্বাচনে কেউ দাঁড়াননি।
সুমন আহমেদ সাবির জানান, এপনিকের আগামী ইভেন্ট বাংলাদেশে হবে। নির্বাচিত হলে তিনি বিশ্ব নেতাদের নজর কাড়তে পারবেন বলে মনে করেন। তিনি বলেন, ‘ইসি কমিটিতে হোস্ট কান্ট্রির কেউ থাকলে, ওই ইভেন্ট করা অনেক সহজ হয়ে যাবে।’
বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এপনিক কমিটির বৈঠক
এপনিকের ৫০তম আসর বসবে বাংলাদেশে। সেই আসর কেমন হবে, কী কী থাকবে— এসব বিষয় নিয়ে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এপনিক কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন শহরের ক্রাউন প্রমেনেড হোটেলে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব নূর উর রহমানের নেতৃত্বে বৈঠকে অংশ নেন বিটিসিএল এর উপব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম হাবিব, বিটিআরসির মহাপরিচালক (ইঅ্যান্ডও) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহফুজুল করিম মজুমদার প্রমুখ। বৈঠক সূত্র জানায়, প্রতিনিধিদল এপনিকের ৫০তম আয়োজনে কী কী প্রশাসনিক সুবিধা দিতে পারবে তা তুলে ধরে। বৈঠকে কমিটিকে জানানো হয়, সরকারের পক্ষ থেকে এপনিক আয়োজন সফল করতে সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
এছাড়া, সম্মলনে আজ ইন্টারনেট ও নেটওয়ার্কিংয়ের ওয়ার্কশপ ও কারিগরি সেশন অনুষ্ঠিত হয়।
এপনিকের ৫০তম আসরের আয়োজক সংস্থা বাংলাদেশের আইএসপিএবি (ইন্টারনেট সেবাদাতাদের সংগঠন)। সংগঠনের সভাপতি আমিনুল হাকিম মোবাইলে বলেন, ‘আমরা যথাসময়ে সম্মেলন আয়োজনের জন্য প্রস্তুত। সরকারের রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নে এটা সহায়ক হবে বলে আমরা মনে করি।’