১০০ কোটি দিতে চাইলো গ্রামীণফোন, ফিরিয়ে দিলো বিটিআরসি

777পাওনা সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকার মধ্যে ১০০ কোটি টাকা দিতে চেয়েছিল গ্রামীণফোন। তবে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এ প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছে। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষ এ কথা জানায়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ‘বিরোধপূর্ণ’ অডিটের স্বচ্ছ ও গঠনমূলক সমাধানে টাকা জমা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে বিটিআরসিকে আলোচনার আমন্ত্রণ জানিয়েছে গ্রামীণফোন।
গ্রামীণফোনের পরিচালক ও রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্সের প্রধান হোসেন সাদাত বলেন, ‘এই উদ্যোগের উদ্দেশ্য হলো অডিট দাবির যথার্থতা বিবেচনায় এনে একটি সমাধানে পৌঁছানো; চলমান আইনি প্রক্রিয়ার বাইরে বিকল্প একটি উদ্যোগ।’
তিনি বলেন, হাইকোর্ট অডিট দাবি আদায়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন, কিন্তু এই অডিট দাবির যথার্থতা নিয়ে কোনও মতামত দেননি।
গ্রামীণফোন জানায়, আলোচনার মাধ্যমে স্বচ্ছ ও গঠনমূলকভাবে বিরোধপূর্ণ অডিট আপত্তি সমাধানে সরকার ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার বিভিন্ন পর্যায়ে গঠনমূলক আলোচনা চালিয়ে আসছে তারা। ধারাবাহিক এ আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বিরোধপূর্ণ অডিটের বিষয়টি সমাধান প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে আজ বুধবার গ্রামীণফোন বিটিআরসিতে ১০০ কোটি টাকা জমা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। গ্রামীণফোন আন্তরিকভাবে প্রত্যাশা করে, এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিটিআরসি গঠনমূলক আলোচনায় অংশ নিয়ে সমঝোতার মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তির একটি ফ্রেমওয়ার্ক ও পদ্ধতিতে সম্মত হবে। তবে বিটিআরসি এ প্রস্তাবনায় সম্মত হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, যাত্রার শুরু থেকে গ্রামীণফোন সঠিক সময়ে বিনিয়োগ, উদ্ভাবন এবং দক্ষ কর্মপরিকল্পনার মাধ্যমে ৭৬.৫ মিলিয়ন মানুষকে সেবা দিয়ে আসছে। প্রতিষ্ঠানটি এ পর্যন্ত সরকারি কোষাগারে ৭৫ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা দিয়েছে। ২০১৯ সালে গ্রামীণফোন তার আয়ের ৫৯.২% ভ্যাট, ট্যাক্স, কাস্টমস, এক্সসাইজ-ডিউটি বাবদ সরকারকে দিয়েছে। বাংলাদেশের আর্থ-সামজিক উন্নয়নে অবদান রাখতে প্রতিষ্ঠানটি তাদের স্বাভাবিক ব্যবসায়িক পরিবেশ ফিরে পাওয়ার প্রত্যাশা করছে।