এপনিকের দাফতরিক ভাষা হলো বাংলা

এপনিকের বার্ষিক সাধারণ সভায় বাংলাকে তাদের দাফতরিক ভাষা হিসেবে যুক্ত করার ঘোষণা আসেএশিয়া প্যাসিফিক নেটওয়ার্ক ইনফরমেশন সেন্টারের (এপনিক) দাফতরিক ভাষা হিসেবে যুক্ত হয়েছে বাংলা। ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বাংলাভাষার প্রতি সম্মান জানিয়ে এপনিক এ সিদ্ধান্ত নেয়। সংগঠনটির ৪৯তম সম্মেলনের সমাপনী দিনে বার্ষিক সাধারণ সভায় এ ঘোষণা আসে।

এরআগে, এপনিকের বার্ষিক সাধারণ সভায় এপনিক এনআরও-এএনসি ও ফাইবার অ্যাট হোমের ডিজিএম সাইমন বাড়ৈ এপনিকের নির্বাহী কমিটির কাছে বাংলাকে দাফতরিক ভাষা হিসেবে যুক্ত করার আহ্বান জানান। ওই সাধারণ সভাতেই এপনিকের নির্বাহী কমিটির চেয়ার গৌরব রাজ উপাধ্যায় এ ঘোষণা দেন।

পরে এপনিকের যোগাযোগ ব্যবস্থাপক সিয়েনা পেরি এই প্রতিবেদককে জানান, কর্তৃপক্ষ বাংলা ভাষা অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব পেয়ে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শিগগিরই এটা অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এপনিক কর্তৃপক্ষ যত শিগগিরই সম্ভব এটা ডেভেলপমেন্টের কাজ শুরু করবে।

গত মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন শহরে বসে এপনিকের সম্মেলন। পাশাপাশি শুরু হয় এশিয়া প্যাসিফিক ইন্টারনেট কনফারেন্স অন অপারেশনাল টেকনোলজি- ২০২০ (অ্যাপ্রিকট)। সম্মেলনের শেষ দিন ২১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় এপনিকের বার্ষিক সাধারণ সভা। এদিন সংগঠনটির পরবর্তী কমিটির ঘোষণাও আসে।

বার্ষিক সাধারণ সভায় পঞ্চম বার্ষিকী পরিকল্পনার বিষয়ে অবহিত করা হয়। ২০২৩ সাল পর্যন্ত এই পরিকল্পনায় রয়েছে, সদস্য সংখ্যা, নিবন্ধিত পণ্য ও সেবাবৃদ্ধি, উন্নয়ন, তথ্য ও সক্ষমতা বৃদ্ধি। এছাড়া সভায় বিগত দিনের প্রতিবেদন ও হিসাব-নিকাশ উপস্থাপন করা হয়। অন্যদিকে সম্মেলন অনুষ্ঠিত বিভিন্ন অধিবেশন, কর্মশালা, নেটওয়ার্কিং সেশন ও বৈঠকের সারসংক্ষেপ সদস্যদের সামনে পেশ করা হয়।

এপনিকে বাংলা ভাষা অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে জানতে চাইলে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. নূর উর রহমান বলেন, এটা খুবই আনন্দের কথা। বিশ্বে ৩২ কোটি মানুষের ভাষা বাংলা। বাংলাদেশ প্রতিনিধিত্ব করে সেই ভাষার। এ ভাষা তো অবশ্যই এপনিকে থাকা উচিত।

এদিকে এপনিকের ৫০তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশে। আর ২০২২ সালের এপনিক অনুষ্ঠিত হবে জাপানে।

এপনিকের ৪৯তম সম্মেলনে অংশ নেওয়া বাংলাদেশে ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন আইএসপিএবির সাধারণ সম্পাদক মো. ইমদাদুল হক বলেন, আমরা আগামী সেপ্টেম্বর মাসে এপনিক-৫০ আয়োজন করবো। অনুষ্ঠানে আমরা সবাইকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি, নেওয়ার্কিং করছি। এখানে যে আয়োজন দেখছি, তার চেয়েও ভালো অনুষ্ঠান আমরা উপহার দিতে চাই।