করোনা সংকট শুরুর পর দেশে মোবাইল ফোনে কথা বলার হার কমে যায়। বেড়ে যায় ডাটার (ইন্টারনেট) ব্যবহার। মোবাইল অপারেটরগুলোর সংগঠন অ্যামটব সূত্রে জানা গেছে, গত কিছুদিন ধরে মোবাইলে ভয়েস কল ২০ শতাংশের বেশি কমে গেছে। অন্যদিকে ১৫ থেকে ২০ শতাংশের বেশি বেড়েছে ডাটার ব্যবহার। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অ্যাপসের ব্যবহার বাড়ায় ভয়েস কলের পরিমাণ কমেছে। আইআইজি (ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে) সূত্রে জানা গেছে, দেশে বর্তমানে এক হাজার ৭৫০ থেকে এক হাজার ৮০০ জিবিপিএস (গিগাবিটস পার সেকেন্ড) ব্যান্ডউইথ ব্যবহার হচ্ছে। এরমধ্যে ৭৫০ জিবিপিএসের বেশি ব্যবহার হচ্ছে মোবাইলে। ইন্টারনেটভিত্তিক যোগাযোগ বেড়ে যাওয়ায় মোবাইল ইন্টারনেটে ব্যান্ডউইথের ব্যবহারও বেড়েছে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, দেশে বর্তমানে হোয়াটসঅ্যাপের ব্যবহারকারী সাড়ে তিন কোটি। আর ভাইবার ব্যবহার করে দেড় কোটি গ্রাহক। অন্যদিকে ফেসবুকের বৈধ আইডির সংখ্যা সাড়ে তিন কোটির কিছু বেশি। সেই হিসাবে মেসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যাপের ব্যবহার পাল্লা দিয়ে বাড়ছে।
আরিফ নিজামী বলেন, ‘আমাদের দেশের একটি অ্যাপ, নাম ব্রিলিয়ান্ট, ভালো করছে। এটা দিয়ে দেশ-বিদেশে ফোন করা যায়। এই অ্যাপের বিশেষত্ব হলো— এটা দিয়ে শুধু এই অ্যাপেই নয় মোবাইলে, ল্যান্ডফোনেও ফোন করা যায়। যদিও এজন্য চার্জ দিতে হয়। অন্যদিকে ভালো করছে রিং আইডি নামের আরেকটি অ্যাপ।’
অ্যাপস নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এমসিসি লিমিটেডের কফি আড্ডা নামের একটি অ্যাপ বেশ চলছে বলে জানা গেছে। নির্মাতারা বলছেন, এটা বন্ধু বানানোর অ্যাপ। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী এস এম আশ্রাফ আবীর বলেন, ‘করোনার এই সময়ে অ্যাপটি নিয়ে আমরা বেশ সাড়া পেয়েছি। এরই মধ্যে অ্যাপস্টোর থেকে আড়াই লাখবার অ্যাপটি ডাউনলোড করা হয়েছে। এটি লোকেশনভিত্তিক অ্যাপ।’ তিনি বলেন, ‘করোনার এই সময়ে যোগাযোগভিত্তিক অ্যাপের ব্যবহার অনেক বেড়েছে। আমাদেরও সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে নতুন নতুন অ্যাপের পরিকল্পনা করতে হচ্ছে। এই অবস্থা চলতে থাকলে ঈদের পরে বহুমুখী অ্যাপের ব্যবহার দেখা যাবে। সেক্ষেত্রে তরুণরাই থাকবেন এগিয়ে।’