স্থানীয় উদ্ভাবন দিয়ে করোনা পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা হবে: পলক

ওয়েবিনারে বক্তব্য রাখছেন আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, প্রযুক্তিনির্ভর স্থানীয় উদ্ভাবন দিয়ে করোনা পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এজন্য এন্টারপ্রেনিয়র ইকো সিস্টেম বা উদ্যোক্তা সংস্কৃতির উন্নয়ন ও ধনী-গরিব, শহর-গ্রামের বৈষম্য দূর করতে আইসিটি বিভাগ নিরন্তর কাজ করছে।

প্রতিমন্ত্রী মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক, বেটার স্টোরিজ, ইউএস মার্কেট একসেসের উদ্যোগে কোভিড এক্সিলারেটরের প্রথম পর্বের গ্রাজ্যুয়েশন প্রদান উপলক্ষে আয়োজিত ওয়েবিনারে (অনলাইনে আয়োজিত অনুষ্ঠান) সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

পলক বলেন, ‘পরিবর্তিত নতুন পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিয়েই আইসিটি বিভাগ  ভবিষ্যৎ বিনির্মাণের কৌশল অবলম্বন করেছে। জন্মগতভাবেই আমরা সমস্যা সমাধান ও ঝুঁকি গ্রহণের জাতি। প্রতিবছরই আমাদের ঘূর্ণিঝড় ও বন্যা মোকাবিলা করতে হয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিগত ১১ বছরে গড়ে তোলা ডিজিটাল অবকাঠামোর মাধ্যমে গত ৪ মাসে কোভিড-১৯ মহামারিতে প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই দুর্যোগ মোকাবিলা করতে আমরা সক্ষম হয়েছি। নাগরিকের মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে প্রতিমন্ত্রী করোনা ট্রেসারসহ এই সময়ে নেওয়া আইসিটি বিভাগের নানা উদ্যোগ এবং ওয়ালটনসহ দেশীয় উদ্যোক্তাদের সক্ষমতা অর্জনের কথাও বিস্তারিত তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে প্যানেল আলোচনায় অংশ নিয়ে বিদেশি বক্তারা বাংলাদেশের এসব উদ্যোগকে মডেল আখ্যা দিয়ে ‘সিলিকন ভ্যালি’ বা অন্যকোনেও দিকে নজর না দিয়ে দেশের দিকেই দৃষ্টি নিবদ্ধ করার পরামর্শ দেন।

প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন ইউএস ম্যাকের সহ প্রতিষ্ঠাতা ক্রিস্টোফার বেরি, ইউসি বার্কলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কেন সিঙ্গার, অ্যাঞ্জেল ক্যাপিটাল অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য রোনাল্ড ওয়াইজম্যান, ক্যারেজ টেকনলোজি ভেঞ্চার অব ইউরোপীয় ইউনিয়নের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিল রিচার্ড ও গ্লোবাল স্টার্টআপ মেন্টর স্টিভ অ্যাডেলম্যান।

তিন পর্বের এই ওয়েবিনার উপস্থাপনা করেন আইসিটি বিভাগের টিনা মেহজাবিন। এসময় আগামী সেপ্টেম্বরে কোভিড এক্সিলটরের দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু হবে বলে জানান তিনি।

অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে গ্রাজ্যুয়েশন উৎসব পরিচালনা করেন বেটার স্টোরিজের চিফ স্টোরি টেলার মিনহাজ আনোয়ার।