‘বাংলাদেশ ডিজিটাল পণ্য উৎপাদন ও রফতানিকারক দেশে রূপান্তরিত হয়েছে’

3দেশের তৈরি পোশাক ও সম্পর্কিত খাতে নতুন এক অনলাইন প্ল্যাটফর্মের আবির্ভাব ঘটলো। ‘মার্চেন্ট বে’ নামের এই প্ল্যাটফর্মটি শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) এক ওয়েবিনারের মাধ্যমে উদ্বোধন করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আজ রফতানিকারক দেশে রূপান্তর লাভ করেছে। আমরা ইতোমধ্যে অতীতের শত বছরের পশ্চাদপদতা অতিক্রম করে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে শিল্পোন্নত বিশ্বের সমান্তরালে চলার সক্ষমতা অর্জন করেছি। বিশ্বের ৮০টি দেশে বাংলাদেশ সফটওয়্যার রফতানি করছে। নাইজেরিয়া ও নেপালে কম্পিউটার, যুক্তরাষ্ট্রে মোবাইল রফতানি করছি। সৌদি আরবে আইওটি ডিভাইস রফতানি হচ্ছে। বাংলাদেশে উৎপাদিত মোবাইল থেকে দেশের শতকরা ৮২ ভাগ মোবাইলের চাহিদা পূরণ হচ্ছে। ৫জি মোবাইল উৎপাদনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই এর সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, বিজিএমইএ-এর সভাপতিড. রুবানা হক, সায়েম গ্রুপের সভাপতি মো. মনির হোসেন এবং সায়েম গ্রুপের পরিচালক ও মার্চেন্ট বে’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবরার হোসেন সায়েম।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, মার্চেন্ট বে একটি অনলাইনভিত্তিক ই-বিটুবি প্ল্যাটফর্ম। ট্রেড ডিজিটালাইজেশান, সোর্সিং ডিজিটাইজেশান, উৎপাদন মনিটরিং নিয়েই মার্চেন্ট বের কাজ। ফ্যাক্টরি ও বায়ার উভয়ের পক্ষেই সোর্সিং সহজ করে সাপ্লাই চেইনের ডিজিটাইজেশন নিশ্চিত করতে মার্চেন্ট বে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
অনুষ্ঠানে আরও জানানো হয়, ডিজিটাল ট্রেড সলিউশনের মাধ্যমে এই খাতের দক্ষতা ও সক্ষমতা উন্নয়নে মার্চেন্ট বে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। ইতিমধ্যে মার্চেন্ট বের কাছে এক হাজারেরও বেশি সাপ্লাইয়ার্সের ডাটাবেজ রয়েছে যার মধ্যে ২২টি শ্রেণিতে সর্বমোট ৫ শতাধিক ধরনের পণ্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। মার্চেন্ট বে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের ডিজিটালাইজেশান, বাজার বৃদ্ধি, বিশ্বাসযোগ্যতা বৃদ্ধি ও সক্ষমতা উন্নয়নে কাজ করছে যা বৈশ্বিকভাবে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের সুনাম রক্ষায় বড় ভূমিকারাখবে। মার্চেন্ট বে ওয়েবসাইট লিংক - https://www.merchantbay.com/