‘তারুণ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে হবে’

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, তারুণের মেধা ও প্রযুক্তির শক্তিকে কাজে লাগিয়ে অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।

শনিবার (১০ এপ্রিল) ইনোভেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েটসের উদ্যোগে আয়োজিত ডিজিটাল বাংলাদেশ অভিযাত্রার অর্জন ও ভবিষ্যৎ গন্তব্য শীর্ষক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।

পলক বলেন, হোম গ্রোন ইনোভেশন অ্যান্ড সলিউশনস দিয়েই একটি ‘প্রবলেম সলভিং’ জাতি হিসেবে নিজেদেরকে গড়ে তুলতে হবে।

ডিজিটাল সোসাইটি গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, সাংস্কৃতিক মুক্তি ছাড়া টেকসই অর্থনৈতিক মুক্তি সম্ভব নয়।

তিনি আরও বলেন, দেশে একটি ইনোভেশন ইকো সিস্টেম গড়ে তুলতে শিক্ষা অবকাঠামো পরিবর্তন করে অ্যাক্টিভ লার্নিং ও হাতে কলমে প্রশিক্ষণ, গবেষণা ও সমস্যা সমাধান এবং প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ সাধনে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

তিনি উদ্ভাবনী ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে কপিরাইট ও ট্রেডমার্ক ব্যবস্থাপনাকে আরও সহজ করার পরামর্শ দেন।

তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নে ইতোমধ্যে সরকারি মৌলিক সেবার ৯০ শতাংশ চলে এসেছে অনলাইনে। মোট জনসংখ্যার প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষই এখন ইন্টারনেটে সংযুক্ত হতে পারছেন। আইটি ও আইটিইএস খাতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে ১৫ লক্ষাধিক তরুণ-তরুণীর।

তিনি আরও বলেন, ২০২৫, ৩১ ও ৪১ সালের তিনটি ধাপ অতিক্রমের জন্য স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী নীতি প্রণয়নে ইনোভেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েটস প্ল্যাটফর্ম বড় ভূমিকা পালন করবে।

বিশ্বব্যাংকের পরামর্শক হুসাইন সামাদের সঞ্চালনায় ওয়েবিনারে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ।

আলোচক হিসেবে অংশ নেন এটুআই’র নীতি উপদেষ্টা আনীর চৌধুরী, বিডার সাবেক চেয়ারম্যান কাজী আমিনুল ইসলাম, ডেটাসফটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব জামান, এসবিকে টেকভেঞ্চার’র প্রতিষ্ঠাতা সোনিয়া বশির কবির। বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের পরিচালক তারেক এম বরকতুল্লাহ ওয়েবিনারে নিজেদের প্রস্তাবনাগুলো তুলে ধরেন।