বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাতের খবর জানলো বিশ্বব্যাংক

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিনিধিদল মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে সংযুক্ত হয়ে সাক্ষাৎ করেছেন।  বিশ্বব্যাংকের  অবকাঠামো বিষয়ক দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক গুয়াংঝি চেন প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।  

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. আফজাল হোসেন ও বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার এ সময় উপস্থিত ছিলেন। বিশ্বব্যাংক প্রতিনিধিদলের অপর সদস্যরা হলেন বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর ডানডান চেন, বিশ্বব্যাংক কর্মকর্তা রাজেস রোহাতগি। 

সাক্ষাতে তারা টেলিযোগাযোগ খাতের উন্নয়ন বিশেষ করে, ফাইভ-জি অবকাঠামো, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল নেটওয়ার্ক সাপোর্ট ও সাইবার নিরাপত্তা শক্তিশালীকরণ বিষয়ে মত বিনিময় করেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ডিজিটাল সংযোগ সম্প্রসারণসহ সরকারের প্রতিটি মানুষের দোরগোড়ায় ডিজিটাল সংযোগ পৌঁছে দিতে গৃহীত কর্মসূচি ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেন।  তিনি বলেন, অতীতের তিনটি শিল্প বিপ্লবে বাংলাদেশ অংশগ্রহণ না করেও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের অংশগ্রহণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।  দুর্গম এলাকাসহ দেশের প্রায় প্রতিটি মানুষের কাছে ডিজিটাল সংযোগ পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা আমাদের অব্যাহত আছে।  

বিটিআরসি’র মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার নাসিম পারভেজ টেলিকম খাতের বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ দূর করতে চারটি সুপারিশ বৈঠকে উপস্থাপন করেন।  এগুলোর মধ্যে রয়েছে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ব্রডব্যান্ড সংযোগ স্থাপন, ন্যাশনাল সাইবার থ্রেট অ্যানালাইসিস, ডিটেকশন অ্যান্ড প্রিভেনশন সেন্টার বিটিআরসি’র মাধ্যমে বাস্তবায়ন প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। এছাড়া টেলিটকের  ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ ও বিটিসিএল’র মাধ্যমে দেশব্যাপী ব্যস্ততম এলাকায় ওয়াইফাই জোন সম্প্রসারণ প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি উপস্থাপনায় উঠে আসে।

বিশ্বব্যাংক প্রতিনিধিদল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল সংযোগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন।  তারা ডিজিটাল প্রযুক্তি ও সংযোগ সম্প্রসারণের ফলে বিদ্যমান সাইবার হুমকি মোকাবিলায় সাইবার নিরাপত্তা এবং নিম্নগতির ইন্টারনেট উচ্চগতিতে রূপান্তরের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।  তারা এসব বিষয়ে আরও আলোচনা করবেন বলে জানান।