ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রকল্প বাস্তবায়নের হার ৯৬ শতাংশ

গত ২৬ জুন পর্যন্ত ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের ২০২১-২২ আরএডিপি বাস্তবায়ন হার শতকরা ৯৬ দশমিক ১৫ ভাগ। বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) মোস্তাফা জব্বার’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ২০২১-২০২২ অর্থবছরের আরএডিপি বাস্তবায়ন সভায় এ তথ্য২ জানানো হয়।

২০২১-২২ অর্থবছরে বিটিআরসি, ডাক অধিদফতর, বিটিসিএল, টেলিটক, বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড, টেলিফোন শিল্প সংস্থা, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যা বল কোম্পানি লিমিটেড, বাংলাদেশ ক্যা বল শিল্প লিমিটেড-সহ ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ ও এর আওতাধীন দফতর, সংস্থার ১৪টি প্রকল্পের বিপরীতে স্ব-অর্থায়নসহ মোট ৮৪৫ দশমিক ৫১ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। প্রাক্কলিত ব্যয়ের ৪৯৮ দশমিক ৬৯ কোটি টাকা জিওবি (বাংলাদেশ সরকার), প্রকল্প সাহায্য ৩০০ কোটি টাকা এবং স্ব-অর্থায়ন ৫৫ দশমিক ৮২ কোটি টাকা।

এপিএ স্বাক্ষর

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ ও আওতাধীন প্রতিষ্ঠান, অধিদফতর ও সংস্থা প্রধানদের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। বিভাগের অধীনস্থ ১০টি দফতর ও সংস্থার পক্ষ থেকে স্ব স্ব সংস্থা প্রধান চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে সচিব খলিলুর রহমান চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

বুধবার সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী বলেন, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি অনন্য উদ্যোগ। তিনি বলেন, এপিএ হচ্ছে পশ্চাদপদতা থেকে আমাদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার ভিত্তি। মন্ত্রী তার অধীনস্থ দফতর ও সংস্থা প্রধানদের উদ্দেশে বলেন ,আপনারা যে চুক্তি করেছেন তা বাস্তবায়নে মনোযোগী হতে হবে। চুক্তি স্বাক্ষর মানেই হচ্ছে প্রতিশ্রুতি পূরণের চেষ্টা করা। আর বাস্তবায়ন না করা মানে ব্যর্থ হওয়া।

আগামী দিনগুলোতেও এ সেক্টরের সাফল্য অব্যাহত থাকবে বলে মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সেই সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি যথাযথভাবে বাস্তবায়নের নির্দেশ দেন তিনি।