‘প্রশাসনিক কাজ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হয়েছে’

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটালাইজেশন বা পদ্ধতিগত রূপান্তরের ফলে লাল ফিতার দৌরাত্ম্য দূর হচ্ছে। ২০০৯ সালের পর থেকে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় প্রশাসনিক কাজ কর্মে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হয়েছে। লাল ফিতায় এখন আর ফাইল চলে না, ফাইল চলে ডিজিটাল পদ্ধতিতে। মন্ত্রী, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের  দক্ষতা ও জবাবদিহি বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, প্রশাসন সচল সজীব না হলে সরকার সচল, সজীব থাকে না। আমি এখন প্রতিদিন প্রায় ৬০ থেকে ৭০টি ফাইল ডিজিটাল পদ্ধতিতে নিষ্পত্তি করছি। এতে কাজের গতি বেড়েছে।

মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ আয়োজিত এই বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীদের শুদ্ধাচার, এপিএ, উদ্ভাবন ও শ্রমসাধ‌্য কাজের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত তেকে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব মো. খলিলুর রহমান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

ডিজিটাল যুগের চ‌্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কর্মকর্তা কর্মচারীদের জন‌্য উদ্ভাবনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে মোস্তাফা জব্বার বলেন, আপনারা যতবেশি উদ্ভাবনী হবেন তত বেশি সরকার ডিজিটালাইজেশনে এগিয়ে যাবে। তিনি বলেন, যেকোনও চ‌্যালেঞ্জ মোকাবিলার দক্ষতা, যোগ‌্যতা ও সাহস আপনাদের রয়েছে। তিনি ডিজিটাল অবকাঠামো সম্প্রসারণের মাধ‌্যমে ডিজিটাল  বাংলাদেশ কর্মসূচির সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অপরিসীম  ভূমিকা রয়েছে।

তিনি দ্রুতগতির ইন্টারনেটসহ দেশের ডিজিটাল অবকাঠামো সম্প্রসারণে অর্পিত দায়িত্ব দক্ষতা ও আন্তরিকতার সঙ্গে এগিয়ে নেওয়ার জন‌্য সংশ্লিষ্টদের ভূমিকার প্রশংসা করেন।

অনুষ্ঠানে সংস্থা পর্যায়ে বিটিসিএল, সাবমেরিন ক‌্যাবল কোম্পানি লিমিটেড এবং বাংলাদেশ ক‌্যাবল শিল্প লিমিটেডকে শুদ্ধাচার পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। এছাড়া ২০২১ -২২ অর্থবছরে আকস্মিক, কঠোর শ্রমবাধ‌্য ও কৃতিত্ব পূর্ণ বিশেষ ধরণের কাজের জন‌্য ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের ২৭ জন কর্মকর্তা–কর্মচারীকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।