দেশে-বিদেশে পালিত হবে শেখ রাসেল দিবস

আগামী ১৮ অক্টোবর জাতীয়ভাবে সারাদেশে একযোগে এবং বিদেশের বাংলাদেশ দূতাবাসে পালিত হবে শেখ রাসেল দিবস।

বুধবার (১২ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে বিসিসি অডিটোরিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এ তথ্য জানান।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দিবসটি উপলক্ষে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের উদ্যোগে ১৮ অক্টোবর সকালে বনানী কবরস্থানে শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে দিবসটির কার্যক্রম শুরু হবে। সকাল সাড়ে ছয়টায় স্ব স্ব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দফতর, সংস্থা, প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গণে শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করবে। আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে সকাল সাড়ে সাতটায় পরিকল্পনা কমিশনের সামনে থেকে বিআইসিসি প্রাঙ্গণ পর্যন্ত সবার অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য র‌্যালি অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) শেখ রাসেল দিবস’র উদ্বোধন ও শেখ রাসেল পদক প্রদান করবেন।

দিবসটি উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দুপুর আড়াইটায় ‘শেখ রাসেলের নির্মম হত্যাকাণ্ড: ন্যায়বিচার, শান্তি ও প্রগতির পথে কালো অধ্যায়’ শীর্ষক সেমিনার, একই জায়গায় সন্ধ্যায় কনসার্ট ফর পিস অ্যান্ড জাস্টিস অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া ১৬ অক্টোবর রাত সাড়ে ৯টায় বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল মিলনায়তনে ‘ট্র্যাজিক অ্যান্ড অব শেখ রাসেল: আ শেম ইন হিউম্যান হিস্টোরি’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। দিবসটি উপলক্ষে দেশের সব বিভাগ, জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের উদ্যোগে চিত্রাংকন, দাবা, জাতীয় ফুটবল টুর্নামেন্ট, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, শেখ রাসেল ছিলেন অতিথিপরায়ণ, বন্ধুবৎসল ও প্রাণচাঞ্চল্য ভরপুর একজন শিশু। শেখ রাসেল দিবসে সারা বাংলাদেশের সাড়ে তিন কোটি শিশু-কিশোর-কিশোরীদের কাছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, শেখ রাসেলের নির্মলতা, তার দুরন্ত এবং নির্ভীক শৈশবের গল্প—আমরা পৌঁছে দিতে চাই। আমাদের এই শিশু-কিশোরদেরকে সেই বিজয়ের গৌরবগাথার ইতিহাস থেকে বারবার বঞ্চিত করার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। ইতোমধ্যে আমরা শেখ রাসেল জাতীয় দিবস ২০২২-এর মূল প্রতিপাদ্য নির্বাচন করেছি ‘শেখ রাসেল নির্মলতার প্রতীক, দুরন্ত প্রাণবন্ত নির্ভীক’। এই শব্দগুলোর মধ্য দিয়ে শেখ রাসেলকে আমরা স্মরণ করতে চাই। বাংলাদেশের প্রতিটি শিশু-কিশোর-কিশোরীকে একটি নির্মল শৈশব-কৈশোর এবং একটি নির্ভীক প্রজন্ম হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।

ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সি মহাপরিচালক খায়রুল আমিনের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলা একাডেমির সভাপতি ও কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, শেখ রাসেল শিশু-কিশোর পরিষদের সভাপতি কে এম শহীদুল্লাহ ও এটুআই প্রকল্প পরিচালক দেওয়ান মুহাম্মাদ হুমায়ুন।

পরে প্রতিমন্ত্রী ‘অদম্য রাসেল’ মোবাইল অ্যাপ ও বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন।