ফেসবুক-টিকটকের কাছে সরকারের তথ্য চাওয়ার অনুরোধ বাড়ছে

সোশ্যাল মিডিয়া অর্থাৎ ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টিকটক ইত্যাদি ব্যবহারকারীদের বিষয়ে সরকারের ‘তথ্য চাওয়া এবং কনটেন্ট সরানো’র অনুরোধের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটার ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত তথ্য নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য দেখা গেছে। গত বছর সবচেয়ে বেশি ২ হাজার ৪৪৯ অ্যাকাউন্ট বা ব্যবহারকারী সম্পর্কে তথ্য চেয়েছিল সরকার।

আবার চলতি মাসে টিকটকের প্রতিবেদনে দেখা যায়, গত বছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকার ৩ হাজার ৮১৩টি কনটেন্ট সরাতে টিকটককে অনুরোধ করেছে; যা এ পর্যন্ত করা সরকারের সবচেয়ে বেশি। এর মধ্যে টিকটক তাদের কমিউনিটি গাইডলাইন না মানার দায়ে ১১৩টি ও স্থানীয় আইন না মানার দায়ে ১ হাজার ১৪২টি কনটেন্টের বিরূদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে।

উল্লেখ্য, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের সম্পর্কে সরকার প্ল্যাটফর্মগুলোর কাছে নিয়মিত তথ্যের জন্য অনুরোধ করে থাকে। আবার মেটা ও টিকটক দুটি প্রতিষ্ঠানই ছয় মাস পর পর তাদের স্বচ্ছতা প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে ব্যবহারকারীদের দেশের সরকারের পক্ষ থেকে কী পরিমাণে তথ্য চাওয়া হয় ও তার বিপরীতে তারা কতটা সাড়া দেয়, তা উল্লেখ থাকে।

মেটার সাম্প্রতিক স্বচ্ছতা প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছর জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকার ১ হাজার ২৭৮ জন ব্যবহারকারী বা অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে তথ্য চায়; যার মধ্যে ৬৪ দশমিক ৮৩ শতাংশ তথ্য সরবরাহ করেছে বলে জানায় মেটা। আর গত বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সরকার ১ হাজার ৯২৩টি কনটেন্ট সরাতে টিকটকের কাছে অনুরোধ জানিয়েছিল। টিকটক নিজে থেকেও কনটেন্ট সরিয়ে থাকে। যেমন গত অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত টিকটক মোট ৪২ লাখ ৫৪ হাজার ৬৬৭টি ভিডিও সরিয়েছে।

আরও পড়ুন:

বাংলাদেশের অনুরোধ কতটা রাখে ফেসবুক ইউটিউব টিকটক?