ই-বর্জ্য পরিবেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ: মন্ত্রী

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ইলেকট্রনিক্স বর্জ্য (ই-বর্জ্য) পরিবেশের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। ই-বর্জ্যের ক্রমবর্ধমান হুমকি থেকে মূল্যবান সম্পদ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা করতে হবে। ই-বর্জ্য নিয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতার অনেক অভাব। এর ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে ব্যাপক জনসচেতনতা তৈরি করতে হবে। ই-বর্জ্যের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে পরিবেশ ও প্রতিবেশ রক্ষায় সরকারের পাশাপাশি ডিজিটাল ডিভাইস উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান মন্ত্রী।

মন্ত্রী বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) ঢাকার বসুন্ধরায় ওয়ালটন করপোরেট অফিসে ওয়ালটন ল্যাপটপ এক্সচেঞ্জ অফার সেশন-৩ ডিক্লারেশন প্রোগ্রামে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। ওয়ালটন ডিজিটেক ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান এস এম রেজাউল আলম শামিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ওয়ালটন প্লাজার ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসএম মাহবুবুল আলম, ওয়ালটনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) ইবনে ফজল শায়খুজ্জামান, ডিএমডি ইভা রেজুয়ানা এবং অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক লিয়াকত আলী বক্তৃতা করেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী স্মাগলিং করে অথবা মেয়াদোর্ত্তীর্ণ ডিজিটাল ডিভাইস বা যেকোনও ধরনের পণ্যের অবৈধ প্রবেশ ঠেকানোর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বলেন, আমরা অন্য দেশের ইলেকট্রনিক পণ্যের ডাম্পিং স্টেশন হতে পারি না।

মন্ত্রী বলেন, ই-বর্জ্য ব্যস্থাপনা একটি কঠিন কাজ। সফলভাবে ই-বর্জ্যের ব্যবস্থাপনা করতে পারলে সমস্ত জনগোষ্ঠীর জন্য তা হবে অত্যন্ত কল্যাণকর।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তৃতায় ওয়ালটনের চেয়ারম্যান মেয়াদোত্তীর্ণ, পুরাতন ডিভাইস কিংবা ডিজিটাল পণ্য আমদানি বন্ধের মাধ্যমে ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় মন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলছে, ই-বর্জ্যের অপ্রাতিষ্ঠানিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী লাখ লাখ শিশু, কিশোর-কিশোরী এবং গর্ভবতী মায়েদের স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।