২০৩১ সাল পর্যন্ত আইটি ও আইটিইএস খাতে কর অবকাশ চায় বেসিস

বেসরকারি তথ্যপ্রযুক্তি ইন্ডাস্ট্রি সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করেছে এবং একইসঙ্গে তথ্যপ্রযুক্তিকে একটি নির্ভরশীল ও ক্রমবর্ধমান রফতানি খাত হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে। সেই বেসরকারি খাত সরকারের সঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে শীর্ষস্থানীয় ইন্ডাস্ট্রি হিসেবে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করবে- এই লক্ষ্যে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে শপথ নিলেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সদস্য ও সরকারি-বেসরকারি অংশীজনরা।

শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে বেসিসের ২৫ বছরপূর্তি অনুষ্ঠানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হন তারা। এদিন সন্ধ্যায় রাজধানীর গ্রিনভিল আউটডোরে আবৃত্তি, গান-নৃত্যে জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সাফল্যের ২৫ বছর পূর্তি উদযাপন করে বেসিস।   

অনুষ্ঠানে বেসিসের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এ তৌহিদ, সাবেক সভাপতি হাবিবুল্লাহ এন করিম, এ কে এম ফাহিম মাশরুর, শামীম আহসান, মোস্তাফা জব্বার, এস এম কামাল, রফিকুল ইসলাম রাউলি, মাহবুব জামান ও সৈয়দ আলমাস কবীর এবং বর্তমান সভাপতি রাসেল টি আহমেদকে সম্মাননা জানানো হয়। সম্মাননা স্মারক তুলে দেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এসময় সাবেক সভাপতিরা সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি পরিষেবা খাতের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে এই খাতের আর্থিক প্রণোদনা ৮ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করতে এবং ২০২৪ থেকে ২০৩১ সাল পর্যন্ত আইটি ও আইটিইএস খাতকে করপোরেট করমুক্ত রাখতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। 

এই অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ও সাবেক বেসিস সভাপতি মোস্তাফা জব্বার, জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনরি, শ্রীলঙ্কার হাইকমিশনার ধর্মপালা বিরাক্কডি, মার্কিন দূতাবাস প্রতিনিধি, কোটরা প্রতিনিধি, ফ্রান্স দূতাবাস প্রতিনিধি এবং সহস্রাধিক বেসিস সদস্যসহ সতীর্থ বাণিজ্যিক সংগঠনের নেতারা।

অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্যে বেসিসের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি এবং বেসিস ২৫ বছর পূর্তি উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক সামিরা জুবেরী হিমিকা বলেন, জেআরসি কমিটির যে রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে একটি মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে ১৯৯৮ সালে বেসিস প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল সেই রিপোর্ট এবং বেসিস উভয়েরই ২৫ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। বর্তমানে বেসিস একটি শক্ত অবস্থানে দাঁড়িয়েছে। পরবর্তী ২৫ বছরের জন্য একটি মাস্টারপ্ল্যান করে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। 

বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ উদযাপনের আনন্দ ভাগাভাগি করতে চেয়ে বলেন, ‘আমরা সবার সঙ্গে এই উদযাপনের আনন্দ ভাগ করে নিতে চাই। সবাই মিলে আমরা একটি পরিবার। আমরা একতাবদ্ধভাবে আভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাজারে ব্যবসা সম্প্রসারণের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবো।’

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বন্ধু এবং সহযোগী হয়ে বেসিসের উদ্যোক্তারা অবদান রেখেছিল বলেই আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করতে পেরেছি।

তিনি আরও বলেন, আমি আগামী পাঁচ বছরে বেসিসকে ৫ বিলিয়ন ডলার অর্জনকারী সংস্থা হিসেবে দেখতে চাই।

প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সালে ১৮টি চার্টার সদস্য প্রতিষ্ঠান নিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের জাতীয় বাণিজ্য সংগঠন হিসেবে বেসিসের যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে বেসিসের সদস্য প্রায় ২৫০০।