বেসিস নির্বাচন: সদস্যদের জন্য ভেঞ্চার ক্যাপিটাল করতে চান সহিবুর রানা

দেশের তথ্যপ্রযুক্তি ও সফটওয়্যার সেবা খাতের শীর্ষ বাণিজ্যিক সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) ২০২৪-২৪ মেয়াদী কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন আগামী ৮ মে। নির্বাচনে ‘টিম সাকসেস’ প্যানেল থেকে অংশ নিচ্ছেন তথ্যপ্রযুক্তি উদ্যোক্তা ও সলিউশন নাইনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সহিবুর রহমান খান রানা।

নির্বাচনে অংশ নিয়ে বেসিস সদস্যদের জন্য কী কী করবেন সে বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে নিজের মতামত জানিয়েছেন সহিবুর রহমান খান রানা। তিনি বলেন, ‘বেসিসে আমি মূলত ৩টি বিষয় নিয়ে কাজ করতে চাই। তার মধ্যে প্রধান ও অন্যতম ব্যাপার হচ্ছে সদস্যদের জন্য ‘বেসিস ভেঞ্চার ক্যাপিটাল’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান করতে চাই। যেখানে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন তহবিল যুক্ত করে মেম্বাররা যেন খুব সহজেই তাদের প্রয়োজনীয় অর্থায়ন বেসিস থেকেই নিতে পারে।’

শেয়ারিং মডেলে স্বল্প খরচে বেসিস সদস্যদের আবাসন সমস্যা সমাধান করতে চান সহিবুর রহমান খান। নিজের পরিকল্পনা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘বিগত দিনগুলোতে মেম্বার কোম্পানিগুলো সঙ্গে কথা বলে দেখতে পেয়েছি, অনেকেই নিজস্ব আবাসনের সমস্যায় রয়েছেন। নির্বাচনের পূর্বেই আমরা ৫০ জন সদস্যের জন্য শেয়ারিং মডেলে সদস্যদের টাকাতেই একটি করে ফ্ল্যাট নির্মাণ করার চেষ্টা করি। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে অনেক কাজ করা হয়েছে। কাজ করতে গিয়ে দেখতে পেলাম খরচের মূল টাকাটা চলে যায় জমির দামে। ইচ্ছা ছিল নির্বাচনের পূর্বে এই ৫০ জনের ফ্ল্যাটের কাজ শুরু করে বিষয়টি শুধু নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি হিসেবে ফাইল বন্দি রাখবো না। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কাজ করতে গিয়ে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। যদিও অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে। যদি বেসিস নির্বাচনে পরিচালক হতে পারি তাহলে সরকার থেকে স্বল্প মূল্যে জমি ব্যবস্থা করা অনেক সহজ হবে এবং বেসিসের প্রায় আড়াই হাজার সদস্যদের জন্য বিভিন্ন লোকেশনে নিজস্ব আবাসনের ব্যবস্থা করা সম্ভব হবে। সদস্যরা তাদের খরচেই বিল্ডিং নির্মাণ করবেন। কিন্তু জমির দাম কমে গেলে এবং বেসিসের মাধ্যমে বিষয়টি মনিটর হলে মেম্বারদের আবাসন সমস্যা দূর হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’

ঢাকার বিভিন্ন জোনে শেয়ারিং মডেলে জোনাল প্রাইভেট হাই টেক পার্ক প্রতিষ্ঠা করতে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে চান এই প্রার্থী। তিনি বলেন, ‘বেসিস মেম্বারদের জন্য জোনাল শেয়ারিং মডেলে নিজেদের অফিস ব্যবস্থা হবে। সরকার বিভিন্ন জায়গায় হাইটেক পার্ক করলেও ঢাকার ভিতর জোনে অনুযায়ী এই ব্যবস্থা নেই। বেসিসের মাধ্যমে যদি ঢাকার কিছু জায়গায় শেয়ারিং মডেলে প্রাইভেট হাইটেক পার্ক করা যায়, তাহলে আমার মনে হয় কম খরচে অনেক আইটি কোম্পানি সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারবে। কেউ চাইলে অনেকটা ভার্চুয়াল অফিসের মতো শুধু ঠিকানার জন্যও সেই অফিস ব্যবহার করতে পারবেন।’