‘সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যক্তি-প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে সচেতনতা তৈরি করতে হবে’

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রযুক্তিগত সক্ষমতা তৈরি,আইনের কঠোর প্রয়োগ ও সচেতনতা তৈরিতে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের যথাযথ ভূমিকা পালন করতে হবে।  তিনি বলেন, ‘‘দেশের মানুষকে ‘ডিজিটাল লিটারেট সিটিজেন’ হিসেবে গড়ে তুলতে পারলেই মিথ্যা অপ্রচার করে কেউ বিভ্রান্ত করতে পারবে না। সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে সচেতনতা তৈরি করতে হবে।’’

বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির উদ্যোগে মাঠ প্রশাসনে কর্মরত কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা’ শীর্ষক অনলাইন সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

সেমিনারে ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সির মহাপরিচালক মো. রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে বক্তৃতা করেন— আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল।

পলক বলেন, ‘পর্যাপ্ত সচেতনতা ও শিক্ষা না থাকলে মিথ্যা তথ্যে মানুষ আকৃষ্ট হয়। এসব বিষয়ে মিথ্যা খবর পরিবেশনকারীরা সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মগুলো ব্যবহার করছে।  প্রযুক্তিগত সক্ষমতা অর্জনের মাধ্যমে  সেগুলো চিহ্নিত করে তাদের বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।’  তিনি বলেন, ‘মিথ্যা তথ্য ও গুজব চিহ্নিত করতে ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সি থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হচ্ছে।’  ছাত্র, শিক্ষক, অভিভাবকসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে আইসিটি বিভাগ ‘আসল চিনি’ নামে একটি ক্যাম্পেইন চালু করেছে বলেও তিনি জানান।

আগামী প্রজন্মকে সাইবার হুমকি থেকে  রক্ষা করার আহ্বান জানিয়ে পলক বলেন, ‘‘অনলাইনের মিথ্যা তথ্য যাচাই করতে একটি ‘ফ্যাক্ট চেকার’ এবং ‘জনতার পোর্টাল’ চালু করা হচ্ছে।’’

সেমিনারে দেশের সব বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা অনলাইনে অংশ নেন।