হোয়াটসঅ্যাপের মাল্টিডিভাইস ফিচার সম্পর্কে যা জানা প্রয়োজন

গুঞ্জনের অবসান ঘটিয়ে অবশেষে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হলো হোয়াটসঅ্যাপের মাল্টিডিভাইস ফিচার। গত মাসে ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ ও হোয়াটসঅ্যাপের প্রধান নির্বাহী উইল ক্যাথকার্ট এই ফিচারটি দ্রুত চালু হবে বলে নিশ্চিত করেছিলেন।

এ সময় মার্ক জাকারবার্গ বলেন, ‘‘মাল্টিডিভাইস তৈরি করতে ‘টেকনিক্যাল চ্যালেঞ্জের’ মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে। এটি বেশ জটিল একটি ফিচার। এটা ব্যবহারের আগে ব্যবহারকারীদের বেশ কয়েকটি বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে।’’

জাকারবার্গ তার বক্তব্যে মাল্টিডিভাইস সম্পর্কে কী জানতে হবে, তা সরাসরি উল্লেখ করেননি। পরবর্তীতে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষও এ বিষয়ে বাড়তি কোনও তথ্য যোগ করেননি। তবে মাল্টিডিভাইস ফিচার সম্পর্কে প্রাথমিকভাবে কিছু তথ্য আপনি জেনে নিতে পারেন।

মাল্টিডিভাইস এমন একটি ফিচার, যার সাহায্যে ব্যবহারকারীরা একটি হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টকে কয়েকটি ডিভাইসে একইসঙ্গে এবং স্বাধীনভাবে ব্যবহার করতে পারবেন। অর্থাৎ, ফোনের সঙ্গে সংযোগ না রেখেও অন্য কয়েকটি ডিভাইসে একই অ্যাকাউন্ট ব্যবহারের সুযোগ দেবে মাল্টিডিভাইস ফিচার।

এখনও সব ব্যবহারকারী হোয়াটসঅ্যাপের আলোচিত এই ফিচার ব্যবহারের সুযোগ পাবেন না। অল্প কিছু ব্যবহারকারীর মধ্যে ফিচারটির পরীক্ষা চালানো হচ্ছে। অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস অপারেটিং সিস্টেমের হোয়াটসঅ্যাপ এবং হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস বেটা ব্যবহারকারীরা মাল্টি ডিভাইস ফিচারটি ব্যবহারের সুযোগ পাবেন।

ভারতের প্রযুক্তিবিষয়ক সংবাদমাধ্যম গেজেটস নাউ এক প্রতিবেদনে জানায়, এই ফিচারের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা একটি অ্যাকাউন্ট সর্বোচ্চ চারটি ডিভাইসে একই সঙ্গে ব্যবহারের সুযোগ পাবেন। এক্ষেত্রে স্মার্টফোনের সঙ্গে সংযোগের কোনও প্রয়োজন হবে না।

হোয়াটসঅ্যাপ মাল্টিডিভাইস ফিচার সম্পর্কে অনেকের মনেই প্রশ্ন আসতে পারে যে, এতে চ্যাট সুরক্ষিত থাকবে কিনা। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই চ্যাট হবে এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপটেড। অর্থাৎ, প্রেরক ও প্রাপক ছাড়া আর কেউ চ্যাটে প্রবেশ করতে পারবে না। এমনকি হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ নিজেরাও দেখতে পাবে না এসব চ্যাট।