বিটিসিএলের সহায়তায় টেলিমেডিসিনে হবে চোখের চিকিৎসা

চোখের চিকিৎসায় ভালো ডাক্তার দেখাতে দেশের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে এখন আর রাজধানীতে না এলেও চলছে। নিজের এলাকায় বসে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা প্রখ্যাত চোখের চিকিৎসকদের দেখানোর সুযোগ তৈরি হয়েছে কমিউনিটি ভিশন সেন্টারের মাধ্যমে। টেলিমেডিসিন প্রযুক্তি ব্যবহার করে চোখের রোগীদের সেবাদান শুরু হয়েছে। এতে কারিগরি সুবিধা দিচ্ছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল)।

প্রসঙ্গত,গত ১১ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। ওইদিন দেশের ২০ জেলার ৭০টি উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্থাপিত কমিউনিটি ভিশন সেন্টারের কার্যক্রম শুরু হয়। পর্যায়ক্রমে দেশের সব উপজেলায় এই সেন্টার স্থাপন করা হবে বলে জানানো হয়।

জানা যায়, বর্তমানে দেশের ১০৯টি উপজেলায় কমিউনিটি ভিশন সেন্টার চালু হয়েছে (অন এয়ার)। এসব উপজেলায় বিটিসিএল উচ্চগতির (ব্রডব্যান্ড) ইন্টারনেট সংযোগ রয়েছে। ফাইবার অপটিক ক্যাবল বসিয়ে সংযোগ দিচ্ছে উদ্যোগটির অংশীদার বিটিসিএল।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, আমরা আশাতীত সাড়া পেয়েছি এই প্রকল্পে। চোখের বিভিন্ন রোগীরা নিজের এলাকা থেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ, ব্যবস্থাপত্র নিতে পারছেন। এমনকি রাজধানীর চিকিৎসকরা দূর উপজেলার কোনও চোখের রোগীর অপারেশনও করতে পারছেন স্থানীয় চোখের ডাক্তারদের সহায়তায়। ওই প্রান্তে বসে ডাক্তার ঢাকা বা অন্য কোনও জায়গার চক্ষু বিশেষজ্ঞের সহায়তা নিয়ে অপারেশন করতে পারছেন। উচ্চগতির ইন্টারনেট থাকায় ভিডিও কলে কোনও সমস্যাও হচ্ছে না। তিনি জানান, এই উদ্যোগ স্বল্প পরিসরে নেওয়া হয়েছিলো। এখনও ক্রমেই বড় হচ্ছে। দেশের মানুষ সহজেই সেবা পাচ্ছে। আর এতে করে টেলিমেডিসিনের ক্ষেত্র আরও প্রসারিত হলো।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কমিউনিটি ভিশন সেন্টারে রয়েছে সংবেদনশীল যন্ত্রপাতি। কর্মীরা সবাই প্রশিক্ষিত। তারা রোগীর চোখের সামনে যন্ত্র কীভাবে স্থাপন করতে হবে, কীভাবে মেশিনের সামনে রিপোর্ট ধরতে হবে- সব তারা জানে। জেলার চিকিৎসকরা ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে রোগী দেখেন। তারা রেফার করলে ঢাকার চিকিৎসকসহ বিশেষজ্ঞরা দেখে থাকেন।         

কমিউনিটি ভিশন সেন্টারের অংশীদার বিটিসিএল’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. রফিকুল মতিন বলেন, আমরা নতুন নতুন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কানেক্টিভিটির আওতায় আনছি। ২৩টি উপজেলায় অবকাঠামো নির্মাণাধীন রয়েছে। এখন কানেক্টিভিটি টানার (ফাইবার অপটিক ক্যাবল বসানো) কাজ চলছে। এছাড়া আরও ২৪টি উপজেলায় কার্যকারিতা যাচাইয়ের কাজ চলছে।