চার্জিং পোর্টই থাকছে না আইফোনে

স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ও অন্য ইলেকট্রনিক ডিভাইস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য নতুন নীতির প্রস্তাব করেছে ইউরোপীয় কমিশন। নতুন নীতিতে বলা হয়েছে, একই পোর্টযুক্ত ডিভাইস আনার ব্যাপারটিকে প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য বাধ্যতামূলক করতে হবে। এ প্রস্তাব গৃহীত হলে প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের গুছিয়ে নিতে সময় পাবে ২৪ মাস।

ভারতের প্রযুক্তি বিষয়ক সংবাদমাধ্যম গেজেটস নাউ এক প্রতিবেদনে জানায়, ইউরোপীয় কমিশনের নীতিতে সব ডিভাইসের জন্য ইউএসবি টাইপ-সি পোর্টের কথা বলা হয়েছে। এই প্রস্তাব কার্যকর হলে সব প্রতিষ্ঠানকে ২৪ মাস পর থেকে বাধ্যতামূলক ইউএসবি টাইপ-সি পোর্ট ব্যবহার করতে হবে।

ইউরোপীয় কমিশনের নতুন নীতি অ্যান্ড্রয়েডকে খুব একটা প্রভাবিত করবে না। তবে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে অ্যাপল। কারণ, প্রতিষ্ঠানটি এখনও লাইটনিং পোর্ট ব্যবহার করছে। এক্ষেত্রে অ্যাপলের সামনে দুটি অপশন আছে। একটি হলো, টাইপ-সি পোর্ট ব্যবহার শুরু করা। আর অন্যটি চার্জিং পোর্টই তুলে দেওয়া। অর্থাৎ, অ্যাপলের ডিভাইসে কোনও চার্জিং পোর্ট থাকবে না।

চার্জিং পোর্ট থাকতেই হবে সে বিষয়ে ইউরোপীয় কমিশনের কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। এটি নিশ্চিত করে কমিশনের এক মুখপাত্র বলেন, কোনও ডিভাইস শুধু ওয়্যারলেসের মাধ্যমে চার্জ হলে সেটিতে ইউএসবি-সি পোর্ট ব্যবহারের প্রয়োজন নেই।

এ কারণে অ্যাপল চার্জিং পোর্ট তুলে দিতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, ওয়্যারলেস চার্জার দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে। অ্যাপল ইতোমধ্যে ম্যাগসেফ নামের একটি ওয়্যারলেস চার্জিং টেকনোলজি নিয়ে এসেছে। তাছাড়া তাদের হাতে সময় আছে আরও দুই বছর। কাজেই চার্জিং পোর্ট তুলে দিতে অ্যাপলকে খুব একটা বেগ পেতে হবে না।

প্রসঙ্গত, ইউরোপীয় কমিশন এক ধরনের পোর্টযুক্ত ডিভাইস আনার ব্যাপারে নতুন প্রস্তাব দিয়েছে বিশেষ একটি উদ্দেশে। তারা ইলেকট্রনিক বর্জ্য কমাতে চায়। নতুন নীতি গৃহীত হলে চার্জার পুনর্ব্যবহারের জন্য ব্যবহারকারীদের উৎসাহিত করবে তারা।