নিজেদের তৈরি চিপে অ্যাপলের নতুন ম্যাকবুক প্রো

নিজেদের তৈরি নতুন চিপ নিয়ে নতুন অ্যাপলের যাত্রা শুরু হলো। ১৪ ইঞ্চি এবং ১৬ ইঞ্চি মডেলের দুটি ম্যাকবুক প্রো’তে সংযুক্ত হয়েছে এম১ প্রো এবং এম১ ম্যাক্স নামে তাদের নিজস্ব কাস্টম বিল্ট-ইন-প্রসেসর।

আগামী সপ্তাহ থেকে এটি বাজারে পাওয়া যাবে। ইয়াহুা ফিন্যান্স সূত্রে জানা যায়, ১৪ ইঞ্চি মডেলের দাম পড়বে ১,৯৯৯ ডলার আর ১৬ মডেলটির দাম ২৪৯৯ ডলার।

এম১ চিপের বৈশিষ্ট্য

এর এম১ প্রো চিপটি ৫ ন্যানোমিটারের। এতে রয়েছে ৩৩.৭ বিলিয়ন ট্রানজিস্টার, যা মূল এম১-এর তুলনায় দ্বিগুণ। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, এর পারফরম্যান্স মূল এম১-এর তুলনায় ৭০ শতাংশ বেশি। এর জিপিইউ কোর ১৬টি। গ্রাফিক্সের পারফরম্যান্সও মূলটির তুলনায় দ্বিগুণ।

অপরদিকে, এম১ ম্যাক্সের ট্রানজিস্টারের সংখ্যা ৫৭ বিলিয়ন এবং তা মূল এম‌১-এর তুলনায় সাড়ে তিনগুণ। এর সিপিইউ কোর এম১ প্রো’র মতোই ১০টি, কিন্তু জিপিইউ কোর রয়েছে ৩২টি।

প্রতিষ্ঠানটি আরও দাবি করছে, তাদের চিপ দুটির পারফরম্যান্স ৮ কোর পিসি চিপসের তুলনায় ১.৭ গুণ বেশি এবং তা চলবে ৭০ শতাংশ কম বিদ্যুতে। এক হিসাবে ১৪ ইঞ্চি মডেলটির উভয় চিপ আগের ম্যাকবুক প্রো ১৩ ইঞ্চিতে ব্যবহার করা ইন্টেল কোর আই৭ চিপের চেয়ে ৩.৭ গুণ বেশি গতিসম্পন্ন। আর ১৬ ইঞ্চি মডেলের ক্ষেত্রে আগের কোর আই ৯ চিপের তুলনায় এম১ প্রো চিপ ২.৫ গুণ বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন, আর এম১ ম্যাক্স চিপ ৪ গুণ বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন।

নতুন রেটিনা ডিসপ্লে

নতুন মডেলগুলোতে রয়েছে এজ-টু-এজ লিকুইড রেটিনা এক্সডিআর স্ক্রিন। আর গুজবকে সত্য করে ডিসপ্লেটিকে করা হয়েছে নচ ডিসপ্লে। সঙ্গে ফেস টাইম ক্যামেরা। এর ১৬ ইঞ্চি মডেলের ভিউ এরিয়া ১৬.২ ইঞ্চি আর ১৪ ইঞ্চির ১৪.২ ইঞ্চি। এছাড়াও অ্যাপল তার ডিসপ্লেতে সংযুক্ত করেছে প্রো মোশন ক্ষমতা। এটি আপনা আপনি রিফ্রেশের হার পরিবর্তন করে নেবে। স্ক্রিনে ব্যবহার করা হয়েছে মিনি এলইডি। অন্যান্য ল্যাপটপের তুলনায় এই এলইডি অনেক ছোট।

এর কি-বোর্ডটিও নতুন এবং আগের মতো এখানেও ব্যবহার করা হয়েছে টাচ বার। নতুন পোর্টগুলোর মধ্যে রয়েছে এইচডিএমআই, ৩ থান্ডারবোল্ট ৪টি, একটি এসডি কার্ডস্লট আর একটি মেগাসেফ চার্জিং পোর্ট। এর ১০৮০ রেজুলেশনের ফেসটাইম ক্যামেরাটি অল্প আলোতে আগের চেয়ে দ্বিগুণ ক্ষমতাসম্পন্ন। এর প্রতিটি মডেলেই দেওয়া হয়েছে ৬টি স্পিকার এবং ২টি ট্যুইটার। সেই সঙ্গে ডিপ বেজের জন্য উচ্চ রেঞ্জের মোশনসমৃদ্ধ দুটি উফার।